আহামরি
- সোহরাব হোসেন - বেলা অবেলা ২০-০৪-২০২৪

ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর, লাগে যেন মনোহর
হয় সবি দৃষ্টিগোচর,
মুগ্ধতার ওই নীড়ে মোহাবেশে রাখো ঘিরে
খুনে রূপ অনাড়ম্বর।

নয় কোন আহামরি, তবু যেন আহা মরি
লাগে কী যে অসাধারণ!
অগোচরে নিমগ্নতা অকারণে গভীরতা
মানে না যে সমীকরণ।

একরোখা মন নিয়ে দাও সখী বিনিময়ে
হৃদয়েতে অনুপ্রবেশ,
নিদারুণ সন্নিবেশ, যাই চলে নিরুদ্দেশ
গড়ি সুখে উপনিবেশ।

স্রোতধারা নিরবধি, স্বর্গছেড়া প্রেমনিধি
উষ্ণতর অভিবাদন,
মনোময় পেলে স্থান স্বর্গসুখ হয় ম্লান
অভিষেকে মাহেন্দ্রক্ষণ।

হাসি মুখী চারুলতা জুড়ে থাকে মাদকতা
পারিজাত পারিতোষিক,
সারাবেলা আলোড়ন, ভেবে মন উচাটন
পরিবৃত্তে অভিযাত্রিক।

কত কথা বলে যাও, অপেক্ষার জ্বালা দাও
পিপাসার করমজল।
বলো যদি ভালোবাসি হয়ে যাই একাদশী
স্বপ্নময় বিভেদতল!

হৃদয়ের প্রয়োজন সবটুকু আয়োজন
জীবনের ইশতেহার,
তুমি বিনে অর্থহীন লাগে সবি বর্ণহীন
পৃথিবীটা বিষোদগার।

তোমাকেই পাশে পেলে মনে মন ছুঁয়ে মেলে
প্রজাপতি রঙিন পাখা,
অবসাদ অন্তর্ধানে নবরূপ পাই প্রাণে
আমার এ বাঁচতে শেখা।

আড়চোখে খোঁজ যদি, সুখে ভাসি নিরবধি
মনে লাগে অনুরণন,
চোখ রাখি চোখে ওই, স্বপ্ন দেখি যুতসই
পাই খুঁজে প্রতিফলন।

দীপশিখা অনির্বাণ ইশারায় পাই প্রাণ
ছুটে চলি সমান্তরাল,
আমি তার অনুসারী মন যার অভিসারী
হয়ে রবো অনন্তকাল।

যদি একা কাটে বেলা, তবু লাগে না একেলা
মন জুড়ে অষ্টপ্রহর,
অনুভবে পাশে থাকো প্রাণভরে ভাল রাখো
ভালোবাসা অবিনশ্বর।

হৃদয়ের পারাবার সুখাবেশে তোলপাড়
সইবে না অপনয়ন,
চলে গেলে অগোচরে একা থাকি যে কী করে
হতো যদি সহমরণ!

ভুলে যত অবহেলা, দায়সারা পথচলা
হয়ে থাকো অনুপ্রেরক,
নাই হলো বোধোদয়, বেঁচে থাক এ প্রণয়
নিয়ে চলো অসীমতক।

পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম
২৪ জুন, ২০১৮ ইং।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।