চোরের মায়া
- প্রবীর রায় - অণুগল্পঅণুগল্প ২৪-০৪-২০২৪

ঠক ঠক-ঠক ঠক
কে ?
আমি
আমি কে-কে আমি ?
আরে চিনতে পারলে না আমায়-
দরজা খোলো তাহলেই বুঝবে
অচেনা লোক-অচেনা কণ্ঠ
তবু অনেক ভাবনা -চিন্তা করে দরজা খুললাম
খোলার সাথেই দুষ্কৃতির হামলা
ঘরে ঢুকে পরে জবরদস্তি
হাতে বন্দুক-মুখ ঢাকা সকলের
চিনতে পারা মুসকিল
মাথায় বন্দুকের ডগা ঠেকিয়ে, বললো-
যা আছে সব বের করো-তাড়াতাড়ি
মোবাইল কেড়ে নিয়েছে-চেঁচালেই মৃত্যু
হঠাৎ কি হলো-তারা কিছুই নিলনা -
বরঞ্চ আগের বাড়িতে যা লুটেছে
তার থেকে কিছু অর্থ উলটে আমাদেরই দিলো
অবশ্য তাদের মনোভাব পাল্টানোর পেছনে
একটা কারণ আছে,আর সেটা হল-
তারাও গরীব-আমরাও গরীব.......
পাশে বিছানায় অসুস্থ মেয়ে শুয়ে ছিলো
তাকে দেখে তাদের চোখে জল এলো
আর বললো,আমরা চুরি করতে এসেছি
আমাদের বাবা নেই -মারা গেছে অসুখে
আর মা এখন বিছানাগত- চিকিৎসার জন্য
মেলা টাকার দরকার-সকলের দ্বারে দ্বারে
ভিক্ষে চেয়েছি কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি
তাই শেষে আমরা চার ভাই-বোন মিলে
চুরি করতে এসেছি,শুনে অবাক হলাম
এতটা ভালোবাস মায়ের প্রতি,আজকের দিনে
এখনো এমন ছেলে-মেয়ে আছে,ঠাকুর
তোমাদের ভালো করবে আর তোমাদের
মাও তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে-আমাদের
আশীর্বাদ তোমাদের সাথে আছে
তাদের চিনতেই পারলামনা যে তাদের মধ্যে
দুজন ছেলে আর দুজন মেয়ে,তারা বললো
আমার মাও বাঁচবে আর তোমার মেয়ে(মানে
আমাদের বোনও বাঁচবে)বলে তারা চলে গেল
আমি বসে ভাবলাম তারা পাপের পথ বেছে নিয়েছে
কিন্তু তার আগে সবার দ্বারে হাত পেতেছে -কেউ
তাদের হেল্প করেনি, তাই তারা পাপী হলেও আমাদের
কাছে ভগবান।।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।