শিশুর কান্না মায়ের প্রতি
- প্রবীর রায় ২৫-০৪-২০২৪

মা তুমি দশমাস দশদিন ব্যথা সইলে অনবরত
যা তোমার সহ্যের অসীম-তার ফল আমি
ভালোই চলছিলো জীবন মাগো-আজ কেন তবে এ পথ বেছে নিলে ?
কেন পাপকে আগলে ধরলে-পাপীর বশে বশীভূত হলে ?
তুমিও কুসংস্কারকে মেনে নিলে-অনায়াসে
তবে বিজ্ঞানের যুগে শিক্ষা মূল্যহীন-আধুনিক যুগ বিপদে
শিক্ষিত হয়েও তুমি মূর্খের ন্যায় কাজ করলে
ভণ্ড সাধুর তন্ত্রে-মন্ত্রে আমাকে জড়ালে,সামান্য কিছু টাকার জন্যে
নিজেদের পেট চালাতে-ভালো থাকতে-ভালো খেতে-আমাকে তুলে দিলে পাপীর হাতে
আমিতো অবুঝ শিশু-জ্ঞানহীন,কোথায় গেল তোমার মাতৃত্ব-মায়া-মমতা-ভালোবাসা
একবারও বিবেকে বাধা দিলনা-এক ফোঁটা অশ্রু ঝরলনা
ওরা মানসিক রোগী- চমৎকার চাই,তাই তন্ত্র সাধনায় বিশ্বাসী
পাখণ্ডী বাবার আদেশে নরবলি দিতে চাই ভাগ্যের তালা খুলতে
আর তুমি আমাকে বেঁচে দিলে ওদের কাছে,বলি দেবার জন্য-ঠেলে দিলে মৃত্যুর ফাঁদে
তুমি আমাকে না বাঁচিয়ে বললে-আমরা গরীব,খেতে পাইনা-পরণের পোশাকও ঠিকমতো জোটেনা তাই........
তোকে বলি দিলে পরজন্মে ধনীর ঘরে জন্মাবি-সুখে থাকবি-যা চাইবি তাই পাইবি
তা কি সম্ভব মাগো ? কেন তুমি বুঝতে পারলেনা ওদের চাল
শেষ এখন সব শেষ,আর কেঁদে কি হবে,আমি কি জীবিত হবো, না কোনমতেই হবো না
তাই যাবার আগে বলে যেতে চাই, পৃথিবীর সকল মাদের,তোমরা কোরোনা ভুল-যেয়োনা সাধুর দরবার
গেলেই শেষ-আমারই মতো
জাগো শিক্ষিত সমাজ -জাগো,বিজ্ঞান তোমাদের পাথেয়
এখনো সময় আছে-নইলে একদিন নিশ্চিত সব শেষ
সব শেষ-সব শেষ হয়ে যাবে।।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।