মাকাল ফলের বিপরীত
- মারুফুল হাসান ২৪-০৪-২০২৪

বাসন্তী, তুমি আমাকে ছোট একটি প্রেম কৌটা দিলে। আমি দুর ছাই বলে ছুড়ে ফেলে দিলাম। তোমার মতই মলিন আর গেঁয়ো বলে। তুমি অনেক কষ্ট পেলে বুঝি? চৈত্রের মাঠের মতন ফেটে গেল বুকের প্রান্তর! রাগ না করে হৃদয় ঘরের এককোণে রেখে দিলে সে কৌটা তবু। বললে, ‘ভালো থেকো জীবন দা’।
একদিন ভূগোল ক্লাসে স্যার বললেন, গোলকটা টকটকে লালে রাঙিয়ে আনিস জীবন; বড্ড একঘেয়ে লাগে দেখতে। একঝাক বিরক্তি গুনগুনিয়ে উঠল। এজন্যই মদন স্যারের ক্লাস করি না। দুষ্ট ছেলের হাতে ছোড়া ঢিল যেন এই মদনদেব!
ধ্যাত! কোথায় পাব রঙ? কিভাবে রাঙাব পৃথিবী?
ও হ্যাঁ, বাসন্তি তোমার কৌটা আমার হৃদয় ঘরের কোণে।
সিঁদুরের এক দানা নিয়ে রাঙিয়ে দিলাম পুরো ভূগোলক। রঙিন হলো সাত সমুদ্র তের নদী তিন ভাগ জল, এক ভাগ পাহাড়-পর্বত, নগর-বন্দর, ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, ওশেনিয়া আর এন্টার্কটিকা।
একান্ন কোটি একলক্ষ পাঁচশ বর্গকিলোমিটার জুড়ে গেঁয়ো মেয়েটির সিঁদুর দানার মত কিছুই খুঁজে পেলাম না। আবার পৃথিবী-জুড়ে এমন কষ্টদায়ক শব্দকাঁটা আর নেই--- ভালো থেকো জীবন দা।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।