১৯৯৬
- শিমুল আহমেদ ২৮-০৩-২০২৪
শিমুল আহমেদ
ক্লান্ত পথে হাঁটছে পথিক
ছিয়ানব্বই ডাকছে আয়,
বন্ধু ওরে বালুকা বেলার
ধূলো মাখা পথে ফিরে আয়।
পথের ধূলোয় লুটাবি যদি
অহর্নিশি অহংকার,
সিন্ধু তীরের বন্ধু ওরে
ছিয়ানব্বই ডাকছে আয়।
জানি তোর আছে সব
বিপনি-বিতান অট্রালিকা,
রাত-দূপুরে তোর পাশে শোয় মেঘবালিকা,
জানি তুই মান্য গণ্য
আমি না হয় পথের পণ্য
ওরে বন্ধু আজকে না হয় পথিক হবো
একই মঞ্চে, একই মন্ত্রে
আমরা সবাই দীক্ষা নিব
ছিয়ানব্বই একটি জাতি
সে জাতির নাম বন্ধু জাতি,
বন্ধুর মাঝে নমশূদ্রেরও নাই পৃথক পরিচয়,
বন্ধু যেজন সেজন যেন কেবলই বন্ধু হয়।
বন্ধু তুমিও তো পারতে ছুঁতে
ছোঁওনি কেন দুঃখের দহন?
ছুঁয়ে দিলেই রংধনুতে হাসতো জীবন,
তুমিও তো রোদন ভরা
র্সূযদীঘল দুঃখের প্রদ্বীপ,
সরীসৃপের শীতল পিঠে
ঘুমাও তুমি কি অনাবিল!
দুঃখ গুলোর দুচোখ বাঁকা
আমারও সে পথে চলতে শেখা।
তুমিই প্রথম চিনিয়েছিলে পদ্মাবতী
শাকীর শরাব, কৃষ্নচূড়া,
শরীর থেকে পদ্য শিখা
তুমিই প্রথম শিখিয়েছিলে
শরীর ছোঁয়া, অগ্নি শিখা,
অধর থেকে অদ্যবধি
শরীর ছুঁয়ে জন্ম নেয়া।
তুমি প্রথম বলেছিলে ভালবাসি
তখেন থেকেই মোন বাঁশি
বাজিয়েছিল চিতার দহন,
তখন থেকেই সবর্নাশী
দু-কূল ভেঙ্গে অনেক প্লাবন।
তুমি প্রথম বলেছিলে
অধর ছুঁয়ে অধর রাখ
এটাই তোমার কাব্য কলা
এখান থেকেই বাঁচতে শেখো।
২২/০৮/২০১৮ ইং
নিজবাসভূমে।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।