কথার কচড়া
- সোহরাব হোসেন - ছড়ার জগৎ ২০-০৪-২০২৪
কথার সুতোয় বুনে মায়া
আবেগ করে জড়ো,
চলছে যতো কান্না হাসি
হৃদয় ভাঙ্গে কারো।
সোনামণির সোনামুখে
ফোটলে কথার বোল,
ছেলে বুড়ো সবাই খুশি
আনন্দে শোরগোল।
সুবোধ ছেলে শুনলে কথা
বাবার থাকে মুখ,
কথার ধার না ধারিলে
কথা শোনায় লোক।
লোকমুখে শোনা কথায়
হাত পা থাকে শত,
কথার নিঁখুত গাঁথুনিতে
হয়ে যায় অমৃত।
মন্দ লোকে ফায়দা লুটে
শুনিয়ে কানকথা,
কথার কথা ফলকথাহীন
সময় নষ্ট বৃথা!
কথায় কথায় কথা উঠে
সবাই হলে জড়ো,
কথা কেন আসে না যে
মেয়েটা আইবুড়ো!
কথা এলে কথা পাড়া
যাচাই বাছাই চলে,
সমন্ধটা যাচ্ছে জুড়ে
পাকা কথা পেলে।
কথা দিয়ে কথা নেওয়া
যায় যে কথার ধাঁচে—
কথার সফল চালাচালি
কথার মারপ্যাঁচে।
লাখ কথার এক কথা
সোজা কথাই ভালো,
কথার মতো কথা হলে
আসরটা জমকালো।
কথার পিঠে কথা থেকে
তর্কটা হয় শুরু,
বেফাঁস কথা শুনলে রাগে
কুঁচকে থাকে ভুরু।
এক কথায় দুই কথায়
কথা কাটাকাটি,
উলটা কথা বিপদ ডাকে
করলে ঘাঁটাঘাটি।
মিষ্টি কথায় ভিজলে চিঁড়ে
কার্যটা হয় সিদ্ধি,
কথা বেচে খাওয়ার লোকে
করছে হতবুদ্ধি!
ছোট মুখে বড় কথা
বাজে কথার ছিরি,
কথার তুবড়ি মেরে দেখ
চলছে দাদাগিরি।
যেমন কথা তেমন কাজ
হয় যদি এক কথা,
কথার খেলাফ হলে লোকে
শুনাবে দুই কথা।
কথার প্যাঁচে কথা বাড়ে
নড়বড়ে পাঁচ কথা,
কথার ফেরে পেলে শুনায়
নিন্দুকে দশ কথা।
সব কথার শেষ কথা
কাজের কথায় তুষ্টি,
হক কথা ভীষণ তেতো
লাগে না ভাই মিষ্টি।
শুক্রবার, পতেঙ্গা
০৫ অক্টোবর, ২০১৮ ইং।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।