উপসংহার
- সোহরাব হোসেন - বেলা অবেলা ২৯-০৩-২০২৪

একদা এই শান্ত হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলে নিধি,
সুখের দোলায় হৃদয় দুলেছিলো তোমার দহলিজে—
প্রণয় শিখা জ্বলতো অনির্বাণ হৃদয়ের পিলসুজে।

শুরুটা ছিলো স্বপ্নের মতোই!
কন্ঠ নিঃসৃত তোমার যত সাদাসিধে কথামালা,
কল্পনার পালে অঘোরে বিলোত ঋজুগতির হাওয়া।
অয়োময় এই ধরণীর বুকে নিমিষেই করে যেতে বিনির্মাণ—
অদেখা এক ভিন্ন জগৎ।

আশ্বিনী পূজায় ব্যস্ত ছিলে ক'দিন,
ঠাকুর চরণে পূজো দিবে বলে কথা!
তাই তুমি আমার খোঁজ নিতে পারোনি।
আর, তোমার খোঁজ নেওয়া তো বারণ ছিলো;
পূজোর ছুটিতে তোমার দাদা আসবে বলে।

পূজো তো সেই কবেই শেষ!
ছুটি শেষে দাদাও চলে গেছে— তাই না?
অথচ আজ কতদিন বাদে পেলাম তোমায়!
ঠিক তোমাকে নয়, অন্য তোমাকে;
তোমার আমার মাঝখানে আজ অজানা এক দূরত্ব!
ঠাকুরের পুজো করে তুমি পাল্টে গেছো বেমালুম;
অচেনা এক অন্য তুমিতে।
আমাকে নিয়ে গড়েছিলে যেই ভিন্ন জগৎ,
কালবেলার করাল গ্রাসে হয়ে গেছে তা শুধুই—
ভুলে ভরা এক গল্প!

অগোচরে কখন যে সরে গেছ এতো দূরে!
ঝরা পালকের মতো মনটাকে একা করে;
টের-ই পেলাম না!

জানো কি নিধি?
আজো তুমি এই অশান্ত হৃদয়ে ঝড় বইয়ে যাও, অনবরত
অদৃশ্য কোন এক দূরত্ব থেকে নেড়ে যাও হৃদয়ের কলকাঠি—
অগোছালো এই মনের খেয়ালে করে যাও সব তছনছ;
করে দিয়ে যাও মুহূর্তেই সব তোলপাড়।

একটু কি বুঝানো যেতো না আমায়!
কী ছিলো আমার ব্যর্থতা,
কিংবা তোমার অপারগতা, আর—
আমাকে ভুলে থাকার নির্মম গল্পটা।
কীভাবে তুমি হয়ে গেলে এমন স্বার্থপর!

থামানো কি যায় না কিছুতেই?
অদৃশ্য যত ঝড় বয়ে চলে মনের মুকুরে।
কখ‌নো কি আর একটু সময় হবে তোমার?
লিখে যেতে সেই স্খলিত স্বপ্নের উপসংহার!

রবিবার, পতেঙ্গা
০৭ অক্টোবর, ২০১৮ ইং।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

robinbdbuet
১৭-১১-২০১৮ ০৯:৫৫ মিঃ

মধুর সময়গুলো বড় ক্ষণজীবী হয়। এই ক্ষণজীবী সময়ের ঘাত-প্রতিঘাতে কেটে যায় বিস্তীর্ণ জীবন। সুখে-অসুখে থেকে যায় এর রেশ।