ঈর্ষা
- সোহরাব হোসেন - ষোড়শী কাব্যমালা ২০-০৪-২০২৪

অহর্নিশি শূণ্যতার মাঝে আপন আঁধারে,
ব্যর্থতার সমারোহে ভাসি অাকুল পাথারে।
ক্রান্তিকালে হারালাম শুধু, পেলাম না কিছু;
তমাচ্ছন্ন গ্রহণের পালা ছাড়ে না যে পিছু!
জীবনে যা পাইনি কখনো আপনার করে,
দীর্ঘায়িত লালসার গ্রাসে চাই বাহুডোরে।
আসবে না যে প্রাপ্তির রাহে; হবে না আপন,
করে যায় সে অজ্ঞাতসারে দাহের বপন।
পারিনি যা নীরবে কাঁদায় মনের ভিতর,
ঈর্ষান্বিত করে কার প্রাপ্য! পরশ্রীকাতর।

অপ্রাপ্যতা দিলো এ দীনতা, এ হীনম্মন্যতা,
চিত্তাকর্ষী জগতের মোহে ঈর্ষাকাতরতা।
বিনা ক্লেশে যদি কিছু মিলে হাতের মুঠোয়,
আর কারো জুটে গেলে কাটে মনের সুতোয়।
ঈর্ষানলে পুড়ে জনপদ? পুড়ে কি শহর?
অন্তর্দাহে রাবণের চিতা- বিবাগি অন্তর।

বুধবার, পতেঙ্গা
০২ মে, ২০১৮ ইং।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 2টি মন্তব্য এসেছে।

robinbdbuet
১১-০১-২০১৯ ২১:১৩ মিঃ

বাংলার কবিতায় আমার ১০০ তম কবিতা। অনুপ্রেরণার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

robinbdbuet
০১-০১-২০১৯ ১১:০৭ মিঃ

আলহামদুলিল্লাহ, এটা আমার ৭ম ষোড়শী কবিতা।

প্রথম স্তবকে (১০ লাইনে) উপস্থাপনা, দ্বিতীয় স্তবকে (৬ লাইনে) নিবেদন। প্রতি লাইনে ১০ মাত্রার পদ ও ৬ মাত্রার পর্বের পয়ার ছন্দ। এই হলো ষোড়শীর স্থাপত্য নকশা।

এখানে ৪+৬+৬ মাত্রার ছন্দের ব্যবহার হয়েছে।