বাধা
- স্বর্ভানু সান্যাল ২৯-০৩-২০২৪

বাড়ি থেকে বেরোতে গেলেই দেখি
একটা মাকড়সা কেমন ইতিহাস স্যার মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে
অথবা জটাজুটধারী প্রাচীন এক সন্ন্যাসীর মতো।
তার জাল চারদিকে জরিয়ে ছড়িয়ে আছে,
দুই চোখে দুটো অগ্নিময় সংহত শঙ্খ
আর শরীর জুড়ে যক্ষপুরীর থেকে বেরিয়ে
সহস্র সহস্র যোজন উড়ে আসা
গুটিপোকাদের তরঙ্গিত হিল্লোলিত রূপটান।

বাস্তুসাপটা মরেছে বহুকাল হল
এখন এই বাস্তু মাকড়সার জাল থেকে কিভাবে নিজেকে ছাড়াই?
জলজ শ্যাওলা তো আমি নই যে সুরুত সুরুত করে
এ ঘাট ও ঘাট ঘুরে
কোনো স্নানরতা বনকিশোরীর নরম বুকে স্থান নিয়ে পিদিম জ্বালা মেঠো পথ বেয়ে
হাজার মাইল ধেয়ে
কোনো ছলোক ছলোক নদীর সজলতায় গিয়ে পড়ব
নদীর গললগ্ন কণ্ঠহার হয়ে রুনুক-ঝুনুক আমার সহস্র-দিন-রাত পথ চলা
তারপর সফেন-সমুদ্র-গাহন
স্নানশেষে, সবশেষে সমুদ্রের বেলাভূমিতে ছিন্ন লতার মতো পড়ে থাকব -
সমুদ্র তো জলজ শ্যাওলাদের নেয় না।

কিন্তু এই মধ্যযুগীয় মাকড়সাটা আমার সে মহাপ্রস্থানের পথে বাধ সাধল
ওর জালের আরামদায়ক নিস্পন্দ মৃত্যুতে ডুবে আমার আর
সমুদ্রের গুরু গুরু ধ্বনি শোনা হল না।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।