স্বপ্ন
- মনোহর মিলন // MONOHAR MILON - কম্পিউটার শিখতে আসে জ্যোতি ২৮-০৩-২০২৪

সচ্ছল পরিবারের ছেলে, পরীক্ষায় ফেল করার কারণে পড়ার কোন সুযোগ দিলো না বাবা। মেধাবী ছাত্র। বুকে অভিমান নিয়ে বিদ্যুতের কাজে লেগে গেলো জিহাদ। তার প্রতিভা দেখে বন্ধুরা আবারো পড়াশোনার পরামর্শ দেয়। গোপনে ও কাজের ফাকে রাতের বেলায় পড়াশোনা করে। পাশবর্তী স্কুলে নতুন ভাবে ভর্তি হয়ে পাশ করে কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। অন্যের বাড়ী বিদ্যুতের কাজে করে পড়াশোনা চলতে থাকে। যে বাড়ীতে ইলেকট্রিক শক লেগে মাটিতে পড়ে যায় সেই বাড়ী জিহাদের কলেজের বান্ধবী জ্যোতির বাড়ী। জিহাদ ব্যাপারটা বাড়ীতে জানাইতে অপারগ থাকায় জ্যোতি তাকে সুস্থ্য করে তোলে এবং বিদুত্যে কাজ করতে নিষেধ করে।জ্যোতি তার উপবৃত্তির টাকা দিয়ে জিহাদকে ভর্তি করে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে, পাশাপাশি পড়াশোনা করে উচ্চ শিক্ষিত হয়। অল্পদিনে কম্পিউটারের ভালো কাজ শিখে।এবং সেই সেন্টারের মাস্টার হয়। দুর্ঘটানায় সেন্টারের মালিক বাবুল চাচা মারা যায়, বাবুলের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জিহাদ সেন্টারের মালিক হয়। চারোদিকে সুনাম করতে থাকে গ্রামের লোকজন। এক বান্ধবীকে সাথে নিয়ে সেই সেন্টারে কম্পিউটার শিখতে আসে জ্যোতি। রুপার একজোড়া নুপুর উপহার দেয় জিহাদ। সেখান থেকেই ভালোবাসার শুরু হয় দুজনার। জিহাদের আপত্তি থাকা সত্বেও দেরী করে বাড়ী ফিরে জ্যোতি। এক ছাত্রীকে নিয়ে সন্দেহ করে জ্যোতি। অভিমানের স্রোত বয়ে যায় কিছুদিন। সন্দেহ করা ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেলে জ্যোতি পুনরায় কম্পিউটার সেন্টারে আসতে শুরু করে। জ্যোতির আসা যাওয়ার পথে বিরক্ত করে মোবারক। জিহাদের ক্ষতি করার জন্য উৎ পেতে থাকে। জিহাদ জ্যোতির বিষয়টি মোবারকের মাধ্যমে বছর খানেক পর জ্যোতির বাবা জেনে যায়।জ্যোতির বাবা ও মোবারক মিলে গোপনে কম্পিউটার সেন্টারের ক্ষতি করে জ্যোতির বাবার লোকজন। মোবারকের চক্রান্তে পাঠানো এক মেয়ে কাকুতি মিনতি করে একটি সার্টিফিকেট আদায় করে জিহাদের কাছ থেকে।আর এই প্রামাণে থানা পুলিশ করে মোবারক। কম্পিউটারের জাল সার্টিফিকেটের চক্রান্তে পুলিশ জেলে নিয়ে যায় জিহাদকে।বান্ধবীর মাধ্যমে খবর শুনে জ্যোতি। জেলখানায় দেখতে যায় এবং কানের দোল ও নুপুর বিক্রি করে মামা এ্যাডভোকেটের মাধ্যমে কোর্ট থেকে জিহাদের জামিনের ব্যবস্থা করে জ্যোতি। জিহাদ মায়ের সহযোগিতায় যুব উন্নয়ন থেকে ঋণ গ্রহণ করে পুনঃরায় কম্পিউটার সেন্টার সচল করে এবং যুব উন্নয়নের অফিসার মকবুল হোসেন জিহাদের আরো উন্নতির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করে। এক সময় জিহাদের কম্পিউটার ছাত্ররা একত্রিত হয় সেন্টার উন্নতি করার জন্য। সেন্টার ক্ষতির দ্বিতীয় চেষ্টা মোবারকের লোকজন প্রতিহত করে ছাত্ররা। জ্যোতির অনত্র বিয়ের ব্যবস্থা করা হলে ছাত্রীর মাধ্যমে জানতে পারে জিহাদ। জ্যোতি বিয়ের দিন জিহাদের এক ছাত্রদের বাড়ীতে দুইদিন পালিয়ে থাকে। জ্যোতির বাবা জিহাদকে দোষি করে মামলা করে এবং পুলিশ নিয়ে আসে।জিহাদ যুব উন্নয় অফিসার মকবুল হোসেনকে ফোন করে আসতে বলে। জ্যোতির মামা এ্যাডভোকেট সোহাগ- জিহাদকে সহযোগিতা করে এবং জ্যোতি ও জিহাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে। সেই বিয়ে মেনে কৌশলে নেয় জ্যোতির বাবা এবং জিহাদ জ্যোতির বাড়ী থাকা অবস্থায় রাতে মারধর করে এবং রেল লাইনের পাশে রেখে আসে ।নিখোজ জিহাদের খবর জানাজানি হয় এবং এ্যাডভোকেট সোহাগ বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। বাবা এমন কাজ করতে পারে বলে সাক্ষী দেয় জ্যোতি ও তার মা আনোয়ারা বেগম। পুলিশ রেজাউল করিম- চালাকি করে জ্যোতির বাবাকে বলে এক লাখ টাকা দিলে মামলায় খালাস করে দিবে।জ্যোতির বাবা একলাখ টাকা দেয় এবং জিহাদকে মারা সমস্ত ঘটনা প্রকাশ করে যা পুলিশের কাছে জবান বন্ধি হিসেবে রেকর্ড হয়। আহত অবস্থায় জিহাদকে উদ্ধার করে এবং একলাখ টাকা জিহাদ কে দিয়ে দেয়। জেলে বন্ধি হয় জ্যোতির বাবা ও মোবারক।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।