প্রেম-ভালবাসার জৈবিক রসায়ন
- আমিনুর রহমান (তপু রায়হান) ২০-০৪-২০২৪

প্রেম বলে কিছু নেই,সবই হরমোনের খেলা
আমরা বোকারা একটু বিস্তর ভাবি মেলা,
বুক ধড়ফড়,বাস্পীয় চোখ,উল্লসিত হূদয়
উক্তেজিত,বাধহীন প্রিয়সান্নিধ্য সম্ভাবনায়।

যে জানেনা গানের ভাষা,সে ও গায় দু'কলি
যে বোঝেনা কাব্য,তার মুখে কবিতার বুলি,
নিরন্তন দিবাস্বপ্ন, সাক্ষাতে জাদুর উন্মাদনা
শিহরন,বিচ্ছেদে কাতরতা,অন্তরে দ্যোতনা।

রাতে অনিদ্রা, দিবাস্বপ্ন,মনে রোমাঞ্চ ছোয়া
বেখেয়ালী মন,অহর্নিশ তারে খুজে পাওয়া,
মহাশক্তিধর হরমোনের টান,মানেনা বাঁধা
প্রেম ভালবাসা নয় শুধু একটা গোলক ধাঁধা

টেষ্টোষ্টেরন এষ্ট্রোজেনের মিলনে সৃষ্টি প্রেম
অবয়ব দৃশ্য কল্পনা মনেতে আকা ফ্রেম
জৈবিক চাহিদা সেতো অপরাধ নয় কিছু
বয়স নয়,হরমোনের চাহিদা ছাড়েনা পিছু।

গর্ভসঞ্চার করে ইস্টোজেন, প্রজেষ্টেরন
পুরুষ এক্স ওয়াই ক্রোমোজম করে বহন,
এক্স এক্স ক্রোমোজম মিলনে কন্যা মেলে
স্বামীর ওয়াই,স্ত্রীর এক্স মিলনে হয় ছেলে।

যৌন মিলনে অক্সিটোসিন সুখের অনুভুতি
ভালবাসা,সন্তান স্নেহ বাৎসল্যর আকুতি
মা -শিশুর ভালবাসা সৃষ্টি করে প্রলেক্টিন
পিতার পিতৃসুলভ স্নেহ বাড়ায় ভেমোপ্রসিন।

জাগতিক ইন্দ্রিয়তাড়িত প্রেম নেশার মতো
যা মানব মস্তিষ্ককে করে তোলে উদ্দীপিত,
নিম্ন সেরোটনিনের প্রভাবে মানসিক আচার
নেশার জগতে ভাল-মন্দের নেই বাছ-বিচার।

প্রেমে বিবেচক মস্তিষ্ক অবিবেচক হয়
মস্তিষ্কের হাইপোথেলামাস চরম সাড়া দেয়
সাহস যোগায়,ভীতি দুর করে টেটোস্টেরন
ভালবাসা বৃদ্ধি করে হরমোন এন্ডরফিন।

(কবিতাটা লিখতে একটু বেশীই কষ্ট করতে হয়েছে।মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিকভাবে মানব প্রকৃতি বিশ্লেষণ ততটা সহজসাধ্য নয়। কবিতাটার বাকি চরণ লেখা সময়সাপেক্ষ।)

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।