গ্রামে ফিরে যেতে চাই
- রুহুল আমীন রৌদ্র ২০-০৪-২০২৪

বলতে পারো তুমি এখনো অর্বাচীন নও,
এখনো প্রাচীন আনকোরা গেঁয়ো ভূত
শহরের এ বিচ্চুরিত আলোক সভ্যতা হতে একশ বছর পেছনে
যেখানে কৃষকের হাতে গবাদি টানা লাঙল, মেঠোপথে কাঠের চাকার মোষের গাড়ি
হ্যাঁ, বলতে পারো আমি ওখানেই আছি,
ওখানেই থাকবো।

এ শহুরে সভ্যতার পেছনে লোকায়িত অসভ্যতা, আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় গ্রামে
এখানে ইলেকট্রিক ফ্যানের বাতাসে আমার প্রাণ শীতল হয়না
বরং শীতল পাটিতে বসে গ্রাম্য কিশোরীর তালপাতার বাতাস
ঢের ভালো।
এখানে নিয়ন আলোয় ঝাঁপসা চোখে ইট শুরকির লৌহ ইমারতে থেকে থেকে
ভেতরটা হয়ে গেছে ইস্পাতের কারখানা
তারচে বরং,
গ্রাম্য মাটির ঘরে কেরোসিনের সলতে জ্বালানো আবছা আলো আমার ভীষণ ভালো লাগে।
এখানে যানবাহনের কার্বন, কারখানার বর্জ্য শুকে শুকে হৃদপিন্ডকে করেছি যেন
কয়েক শতাব্দীর নিকোটিন জড়তাময় কালো টিউবের মতো,
যেনো নর্দমায় পচে থাকা মরা কুকুরের গন্ধও নাসান্ধ্রে আসেনা
তারচে বরং গ্রাম্য মুক্ত পথঘাট আমায় টানে একবুক বিশুদ্ধ শ্বাস নিতে।
এখানে স্টাইলিস মেয়েদের উগ্র ফ্যাশন, বেহায়া অঙ্গভঙ্গি দেখে দেখে আবছা হয়ে গেছে রেটিনা
তারচে বরং গ্রাম্য শ্যামবর্ণ মেয়ের লাল ফিতায় কালোচুল
সাদামাটা পোশাক
বাঁকা চোখের চাওনি
যেন পাথরের বুক চিঁড়ে নির্ঝরবহতায় বয়ে চলে অজস্র রোমাঞ্চ
আমি ব্যাকুল হয়ে যাই।
এ ফরমালিনের আড্ডা ছেড়ে ,গ্রাম্য নুন পান্তায় কাঁচা মরিচ
ঢের ভালো।

হে খরস্রোতা ব্যস্ত শহর আমায় ছুটি দে
অন্ন না মিলে উপোস থাকবো , তবুও স্বজনদের কবরের মাটি জড়িয়ে অর্ধহারে কাটিয়ে দিবো
বাকিটা জীবন।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।