নীল মোরকে না বলা কথা
- বিদায় বেলা - স্নিগ্ধতার ছুয়া ২৬-০৪-২০২৪

"প্রিয়তমা"
প্রতিটি মানুষ তার কল্পনার মতো জীবন সাজায়,
জীবন কে সুন্দর ও সটিক পথে পরিচালনার জন্য একটা স্বপ্ন দেখে,
আমি ও তার থেকে ব্যতিক্রম নই!
একটা স্বপ্ন বুনেছিলাম তুমাকে নিয়ে,
গভীর কল্পনায় বিভোর হয়ে
জল্পনায় এঁকেছিলাম তুমারী ছবি।
যে ছবি টি ছিলো আমার প্রতি মুহুর্তের মন ভালো রাখার আর পথ চলার প্রেরণা।
প্রিয়তমা তুমি আমার মাঝে মিশে গিয়েছিলে যে! নিঃশ্বাসের সাথে যে চুলের সেই সুঘ্রাণ পাই।
তুমি মিশে গিয়েছিলে আমার দেহের প্রতিটি রক্তকণিকা হতে শুরু করে শিরা থেকে উপশিরায়।
স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে পাড়ি ও দিয়েছিলাম তুমাকে নিয়ে জীবনের পঁচিশ টি বছর।
জানি আমার কথাগুলো আজ তুমার কাছে হাস্যকর।
কারণ শুরু টা হয়তো ভালোই চলছিলো দুজনের।
কিন্তু শেষ টায় এসে তুমায় ভালো কিছুই দিতে পারিনি,
অমানবিক আচরণ করেছিলাম,
যা কখনো মানুষ মানুষের সাথে করে না।
অনেক বার প্রশ্ন ও করেছিলে তুমি আমায়,
কেনো এমন হলাম?
হয়তো সেই সময় উত্তর টা কর্কট বাষায় গালি দিয়ে বুঝিয়েছিলাম,
নিশ্চুপ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলে তুমি,
অপরাধীর মতো দাড়িয়েছিলে বসেছিলে বিছানার এক কোণে।
কিন্ত কাউ কে কখনো বলো নি,
ভালো মানুষ টা অমানুষ হওয়ার কথা।
নিজের ভিতরে রেখে নিজেই পুড়েছো।
তবু ও তুমি স্বামীর খারাপ দিকটা লোকিয়ে ভালোদিক টা নিয়ে সবার সাথে স্বামীর প্রসংশা করতে ।
এটা ছিলো আমার প্রতি তুমার অগাধ ভালোবাসা।
তবু ও আমার পাষাণ হৃদয় তুমার প্রতি একটু ও গলে নি।
যন্ত্রণা আর অবহেলায় বিষিয়ে তুলেছিলাম তুমার প্রতিটা মুহূর্ত।
এ সব কিছুর পেছনে একটাই কারণ ছিলো,
আমি জীবনের পঁচিশ টি বছর সাথে থেকে বুঝে গিয়েছিলাম,
তুমি এমন ভাবে আমাকে ভালোবেসে ফেলেছো যে আমাকে ছাড়া একটি সেকেন্ড তুমার কাছে অচল,
খুব অসহায়বোধ করতে যখন আমি একটু দেরিতে বাড়ি ফিরতাম।
আমি বুঝে গিয়েছিলাম,
এ ধরায় আর বেশি দিন তুমার পাশে সুখ দুঃখের সাথী হয়ে থাকতে পারবো না।
বিদায়ের পালা ঘনিয়ে আসছে আমার।
আর হটাৎ চলে যাওয়াটা তুমি কেমন ভাবে নিবে পারবে কি নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে?
পারবে কি আমাকে ছাড়া একা একা বাকি পথটুকু চলতে?
এই প্রশ্নগুলো প্রতিনিয়ত ভাবাতো,
তাই একটু একটু করে দিনের পর দিন আমার প্রতি তুমার মায়া কিছুটা কমিয়ে নেয়ার এক বৃথা চেষ্টা করলাম,
মাসের পর মাস তুমার কাছে দূরে থেকে একা পথ চলতে কিছু টা স্বাভাবিক করে লাশ হয়ে ফিরে এলাম।
প্রিয়তমা...
খুব বেশি ভালোবেসেছিলাম তুমায়

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।