বিবেক রঙ্গীন কাগজে জব্দ
- এস আই তানভী ২৫-০৪-২০২৪

গতকাল আবার
হারিয়ে ফেললাম বেঁচে থাকার মানে

যখন চার দিনের এক শিশুকে
ক্লিনিকের ছাদ থেকে ছুড়ে দেয় তার মা!
অতপর; মা নিজেও লাফিয়ে পড়ে দেনা মুক্ত হয়
হায়রে জীবন! কেন বেঁচে আছি!
এই দায় নেবে কে? রাষ্ট্র! না কি আমদেরই!

এই তো গেলো বছরের ১৭ই অক্টোবর, আজিমপুর
'মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান' এর সামনে
অভাগী পারভীন, চলন্ত জ্বলন্ত রাস্তার উপর
দিবালোকে করে গেলো সন্তান প্রসব!
টাকা নামক রঙ্গীন কাগজ ছিলো না বলে
হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পায় নি সেবা
পারভীন বাঁচলেও বাঁচেনি তার সন্তান,
কলিজার টুকরা, বুকের ধন।

পারভীনের কথা ভুলতে না ভুলতেই
১৯শে অক্টোবর, ২০১৮, সীমা আক্তারের মৃত্যু দেখলাম
ফুটফুটে চার দিনের শিশুটাকেও রাখলো না
এই দূষিত বিবেকে ভরা পৃথিবীতে।
এর মাঝে আরো যে কত অমানবিক, জঘন্য
পৈশাচিক ঘটনা! রয়ে গেছে যা অজানা।

সীমা আক্তার সেবা পেয়েছিলো তবে;
রঙ্গীন কাগজে মোড়ানো মানুষের বিবেক
ভুলে গেছে মানবতা, সহানুভূতি কিংবা আন্তরিকতা
তাই বুঝি! দুটি জীবনের দেনা শোধ করে গেলো
দুটি জীবনকে মৃত্যুর কাছে শপে দিয়ে---

বোন আমার, আমারও বেঁচে থাকার অর্থ নেই
তবুও বেঁচে আছি! লজ্জায় বেঁচে আছি,
উপরে, ওপারেই ভালো থাকিস তোরা---
----------------
২০/১০/১৮ইং

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

Tanvi
২১-১০-২০১৯ ১৬:০৮ মিঃ

উৎসর্গ ঃ অকালে উপরে, ওপারে চার দিনের শিশু সহ পাড়ি দেওয়া সীমা আক্তার। যিনি গত ১৯/১০/১৮ইং তারিখে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার এক ক্লিনিকের ছাদ থেকে ঐ চার দিনের বুকের শিশুকে ছুড়ে নিজেও লাফিয়ে পৃথিবীতে থাকা তার ঋণ শোধ করে গেছেন। আল্লাহ তাদের ওপারেই ভালো রাখুক-----।