শেষ নবীর জন্মদিন স্মরণে
- এস আই তানভী ১৯-০৪-২০২৪

তিনি আবু লাহাব, শেষ নবীর প্রিয় চাচা,
দুনিয়াতে এসেছে ভাতিজা তার
এমন খবর শুনে–
আনন্দে আত্মহারা; দাসীকে করে দিলেন মুক্ত,
যে দাসী এমন খুশির খবর দিয়ে গেলেন
তৎক্ষনাৎ তার সামনে।

জন্মের আগেই নবী হারিয়েছেন বাবাকে,
শৈশব না পেরুতেই হারালেন মা জননীকে,
বড় হলেন তিনি চাচা লাহাবের যত্ন-হাতে
লাহাবও বড় করে তুললেন প্রিয় ভাতিজাকে।

নবীজী পেলো যখন নবুওয়ত, দিলেন সকলকে দ্বীনের দাওয়াত
সবার আগে বিদ্রোহী হলেন নবীজীর প্রিয় চাচা;
সেই পিতৃতুল্য আবু লাহাব,
নবীজীকে করলেন প্রথম ভর্ৎসনা, করলেন ভাতিজার ধ্বংস কামনা,
আল্লাহ হলেন ভীষণ বেজার; পাক কোরআনে নাজিল করলেন
গজব বর্ণনায় সুরা লাহাব–

"কোরআনে আল্লাহ বলে দিলন-
'আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক
এবং ধ্বংস হোক সে নিজে,'
জানিয়ে দিলেন তিনি কোরআন মাঝে
'কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ
এবং যা সে উপার্জন করেছে।'

অতঃপর আল্লাহ দিলেন ঘোষণা-
'সত্বরই সে (আবু লাহাব) প্রবেশ করবে
প্রজ্জ্বলিত লেলিহান অগ্নিতে,
এবং তার স্ত্রীও- জ্বলবে তার সাথে,
যে করেছে ইন্ধন বহন
লাহাবের সাথে আপন হাতে–

এবং তার (লাহাবের স্ত্রী) গলদেশে
থাকবে যন্ত্রণাদায়ক খর্জুরের রশি........'"
নিশ্চয়ই ভীষণ যন্ত্রণায় দুজনে রয়েছে;
রয়ে যাবে অনন্ত সময় ধরে দিবানিশি।

নবীজীর বিরুদ্ধাচারণে তাঁর প্রিয় চাচা আর
চাচী, দুনিয়াতেও ভোগ করে গেছেন চরম দূর্ভোগ,
মৃত্যুর আগেও তারা ছিলেন রোগে শোকে একেলা
পরপারেও পাবেন না যে প্রিয় ভাতিজার সংযোগ।

হে নবী মুহাম্মদ, আজ তোমার জন্মদিনে
সকলে করি এই কামনা মনেপ্রাণে স্মরণে,
চিনে নিও মোদের হাশরের মিলনায়তনে,
নাজাতের সুপারিশ করিও সেই বিচার দিনে।

তোমার সুপারিশ ছাড়া হয়ে যাবো ধ্বংস–
হই না যতই পাপী; তবুও তোমারই তো উম্মত,
দিয়েছো যে কথা তুমি- দোজখে ফেলে মোদের
কখনো তুমি করবে না গ্রহণ কোন জান্নাত।।
--------------------
১০/১১/১৯ইং
১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪১ হিজরি।

বিঃদ্রঃ উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যকার লিখাটুকু পবিত্র কোরআন-এর সুরা লাহাব -এর বঙ্গানুবাদ অনুসারে সাজিয়েছি।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

Tanvi
১০-১১-২০১৯ ১৭:৩৯ মিঃ

পবিত্র কোরআন-এর সুরা লাহাব -এর বঙ্গানুবাদ অনুসারে সাজিয়েছি।