বিশ্বক্রয়
- এ কে সরকার শাওন - বাশীঁওয়ালা ২৪-০৪-২০২৪
যৌবনে প্রিয়ার মন কাড়িবার তরে
আমি বাঁশীওয়ালা হতে চেয়ে;
বাড়ীর কোনে কোনে বাবার সেই
বাঁশীটি খুঁজেছিলাম হন্যে হয়ে!
নিস্ফল খোঁজাখুঁজি!
দু'চোখে নামলো জলের ঢল!
কোন চামার চণ্ডাল চুরি করে নিল,
বাবার-আমার প্রিয় শখের সম্বল!
বাবার বানানো সেই প্রিয় বাঁশী
চুরি হয়ে গেল নিজ অংগনে;
চার দশক অভিশাপ আসে মনে,
দংশিত হই কল্পিত সাপের দংশনে!
একাত্তরে বাবা ফেলেছিলেন ছুড়ে
পাসপোর্ট ছবি সব সুগন্ধার জলে!
বাসা বাড়ী হারিয়েও তিনি সেই বাঁশীটি
ভালবেসে আগলে ছিলেন বগলে!
বাঁশীটি পাকিদের হাতে রক্ষা পেলেও
রক্ষা পায়নি স্বজনদের হাতে!
সে কথাতো প্রমাণিত সত্য
মধ্য আগষ্টের কাল রাতে!
শত উপকারী লিয়াকত ভাই
কার না কাজে লেগেছে?
সবাই তাকে ব্যবহার করে
কত না ফায়দা লুটেছে!
সেই ভালমানুষ টি আজ নেই
চলে গেছেন পরপারে!
স্বার্থপর মানুষ কেউ নয় আপন
তিনি জেনে গেছেন হাড়ে হাড়ে!
সেই লিয়াকত ভাই বললো মমতায়,
"চল, তোরে বাঁশী কিনে দেই!
ভোলাচংয়ের মেলা আছে খোলা
চোখ মোছ, ছেলেদের কাদঁতে নেই!"
ভোলাচং গেলাম দুই মাইল হেটে
মোটে সাত টাকা ছিল পকেটে,
পথে দুই ভিক্ষুক নিয়ে নিল আধা টাকা,
টংয়ে চা-সিংগারায় দুই টাকা গেল কেটে!
দোকানী বাঁশীর দাম হাঁকে পাঁচ টাকা,
সাড়ে চার আছে; আধা টাকা পাবো কোথায়?
পাঁচ পকেট খুঁজে ভাই দিলেন আধা টাকা,
বাশীঁ নয় বিশ্ব কিনে ফিরলাম আপন গায়!
শাওনাজ, ঢাকা!
২৮ নভেম্বর ২০১৯
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।