বুদ্ধিজীবীরা অম্লানকুসুম
- এস আই তানভী ২৯-০৩-২০২৪

কত গ্যালন জল তুলতে পারলে
একটা সাগরের জল কমেছে বলে মনে হবে!?
গণ্ডমূর্খের দল– ধারণা বলতে কিছু নেই,
আমি তো জানি–
যে নদীর জল কমে যায়;
সে নদীর বুকেই ধেয়ে আসে আশপাশের
খাল-বিল কিংবা ডোবা-নালা'র জল;
সে নদীর বুকে এসেই পূর্বের ঘোলা রঙ
করে স্বচ্ছ, পবিত্রতায় হয় আরো উজ্জল।

আমি তো জানি–
লিচু সহ ডাল ভাঙা হয় যে গাছের;
পরের বছর সেই গাছে লিচু ধরে আরো বেশি,
এক ঢিলে মৌমাছি যত সংখ্যায় মরে
তার থেকে ঢের বেশি বেঁচে রয়,
যারা টিকে রয়; তারা হয় আরো তেজী.....।

গণ্ডমূর্খের দল– শুধু শুধু হত্যা করেছিল
বুদ্ধিজীবীদের, পরাজয় নিশ্চিত জেনে
জ্ঞানের মিনার পঙ্গু করে দিতে নির্বিচারে,
বর্বরোচিত, অহেতুক সেই হত্যাকাণ্ড।

তাদের উদ্দেশ্য হয়নি পূরণ,
আজ আমরাই বিশ্বের রোল মডেল,
আমাদের পদতলেও মেলেনা তাদের ঠাঁই
বাংলাদেশের সব বাঙালী জন্ম থেকে বুদ্ধিজীবী–
একথা জানে সমগ্র বিশ্ব, ইতিহাসও তাই বলে।

মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাস
গর্বের সাথে ঘোষণা করে প্রতিমুহূর্তে–
কোন শত্রু বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে
উপরে উঠতে পারে না, তার স্থান হয় নির্ধারিত
বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া বীজের পদতলেরও
অনেক অনেক নিচে, ঘৃণা আর ভর্ৎসনায়....
আর বুদ্ধিজীবীরা থাকে বিশ্ব ইতিহাসের পাতায়
স্বর্ণাক্ষরে, মানুষের অন্তর ঘরে অম্লান অমর হয়ে।
-------------------
১৪/১২/১৯ইং

উৎসর্গঃ ১৯৭১সালে ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ হওয়া বুদ্ধিজীবীদের।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

Tanvi
১৫-১২-২০১৯ ০৭:৫৪ মিঃ

আর বুদ্ধিজীবীরা থাকে বিশ্ব ইতিহাসের পাতায়
স্বর্ণাক্ষরে, মানুষের অন্তর ঘরে অম্লান অমর হয়ে।