বেলা অবেলায় কাঁদি
- এস আই তানভী ২০-০৪-২০২৪
সে তো একজনই ছিলো জীবনে,
যার সমগ্র আয়ু জুড়ে, দেহমন, রক্ত
ভাবনার আঙ্গিনা জুড়ে শুধু আমিই ছিলাম।
কী আশ্চর্যের কথা! জীবনের গড় আয়ু মতে
অর্ধেক পেরুতে না পেরুতে হারিয়ে গেলো;
শেষ সাতটি বছর ছিলো চরম দুঃখী- দৃষ্টিহীনা।
অথচ; মুখখানি ভার করে ঘরে এলে- ঠিক
ধরে ফেলতো, কন্ঠ শুনেই বলে দিতো-
সারাদিন কেটেছে কেমন, ডেকে বসাতো পাশে
হাতড়িয়ে একখানা হাত ধরেই বলে দিতো-
কতটা ক্লান্ত আমি, কতটা ধক্কল গেছে সারাদিনে।
সেই একজন, দুখিনী, গর্ভে ধরেছিলো
তাই বুঝি দৃষ্টিহীনা হয়েও আমার ভিতর-
বাহির সব দেখতে পেতো সর্বদা, নিরবে
চোখের জল ফেললেও বুঝতে পারতো!!!
আর তোমরা! আমার চারপাশে কতশত জন
ভিতর তো দূর! বহুদূরের কথা- বাহিরটাও
দেখতে পাওনা এত আলোর মাঝে।
আজ তার কথা ভাবতেই কিংবা মনে পড়তেই
চোখে আসে জল বেলা-অবেলায়, নিরালা
কিংবা লোকালয়ের মাঝে ব্যস্ত থাকলেও।
--------------------
০৫/১২/১৮ইং
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।