হায়েনাটাকে মারতে পারি না
- এস আই তানভী ২৬-০৪-২০২৪
.
যার স্তন পান করে বড় হয়েছি-
সে নারী বটে, তবে আমার মা।
যার স্তন দেখে নয়, অঙ্গ দেখেও নয়-
ছুঁয়ে আমি উত্তেজিত হই, সে আমার
প্রিয়তমা, তিলোত্তমা, জীবন প্রিয়া।
আমার শক্ত, অমসৃণ হাতের স্পর্শে
সে আহত হয় না, রক্তাক্ত হয় না
বরং পুলকিত হয়, আরো লেপ্টে থাকে
সাদা মেঘ কিংবা কাশফুলের ছোঁয়ার মতো,
হৃদয়ে হৃদয়ে শেষ হয় ক্লান্তিবিনোদন।।
আর স্তন; ধর্ষণের কারণ হতে পারে না,
স্তন কাকে বলে জানেই না- এমন শিশুও
আজ অহরহ ধর্ষিত, অথচ; কিছু কিছু নারী
নিজেদের ভুলেই ধর্ষিত শিরোনামে আলোচিত;
তবে যাই হোক, এসব হায়েনাদের কাজ।
'নারীর অঙ্গ দেখে তোমাদের জাগে পৌরুষ'
জাগতে পারে নষ্টা মনের পুরুষদের; তবে
প্রশ্ন রাখলাম- 'নারী অঙ্গ দেখিয়ে চলবে কেন?'
কারণ ছাড়া কার্য কখনোই হয় নি, হবেও না
তাই আসুন, নারী-পুরুষ সবাই, নিজেকে
বদলে ফেলি, শুভ দৃষ্টিভঙ্গির আবাদ করি,
মনের হায়েনাটাকে মেরে ফেলি।।
-------------------
২৬/০১/১৮ইং
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 2টি মন্তব্য এসেছে।
Tanvi
২৭-০১-২০২০ ১৭:২৮ মিঃওপার বাংলার নারীবাদী লেখিকা #বিভা_গুপ্ত' র #স্তন নামে একটি কবিতা ফেসবুকে পড়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছিলো। আর সেই কবিতার পরিপ্রেক্ষিতে আমি একটি কবিতা লিখার চেষ্টা করেছিলাম। নাম দিয়েছিলাম "হায়েনাটাকে মারতে পারি না!?" । আমার লিখাটা তাঁর লিখার নিচে মন্তব্যের ঘরেও দিয়েছিলাম। তাঁর কবিতাটাও দিয়ে রাখলাম---
স্তন
_____
নারীর যে স্তন পান করে
তোমরা হয়ে ওঠো বড়
সেই স্তনকেই দেখে নাকি
তোমরা হয়ে ওঠো উত্তেজিত ।
তাই তাদের পোশাক পরিধান নিয়ে
তোমরা সমালোচনা করো
নারীকে নাকি পোশাকের আবরনে
নিজেকে করতে হবে সীমাবদ্ধ ।
নারী অঙ্গ দেখে তোমাদের জাগে পৌরুষ
হারিয়ে ফেলো সব মনুষ্যত্ব
সেই নারীদেরই কর ধর্ষণ
স্তনকে কর ক্ষতবিক্ষত লাঞ্ছিত ।
- বিভা গুপ্ত
__________________________
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।