একজন অপরাধীর আত্মকথন
- দজিয়েব ২০-০৫-২০২৪

সরকারি খাতায় আমি চিহ্নিত অপরাধী
পুলিশের তাড়া খেয়ে ছেড়েছি শহর।
যে ছেলেটির পেটে আমি ছুরি বসিয়ে ছিলাম
তার নাম আমি জানিনা,
তার চেহারা আমার মনে নেই;
রাতের গূঢ় অন্ধকার তখনও ছেয়ে বসেনি শহরে
স্ট্রিট লাইট কোথাও কোথাও জ্বলছিলো;
আমি অবশ্য বেছে নিয়েছিলাম অন্ধকার এক ফুটপাত।
শুধু মানিব্যাগটাই তো চেয়েছিলাম,
আর কিচ্ছু চাইনি- মোবাইল, ঘড়ি, কিচ্ছুনা।
বদমাশ ছোকরাটা দিতেই চাইলোনা!
অথচ আমার বাচ্চার দুধের টাকাও তখন আমার নেয়
আমার বৌ দুমাস ধরে হসপিটালে
আমার পেটে টানা তিনদিন ধরে দানা পড়েনি।
ছুরিটা চুরি করেছিলাম ডাক্তারের কেবিন থেকে
অস্ত্রোপচারের ছুরি, ছুতেই কেটে যায় চামড়া;
তখন কি জানতাম ছেলেটা মরেই যাবে!
আমি শুধু বাঁচার চেষ্টা করেছি
আমার সন্তানকে, আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে চেয়েছি;
চাকরির অধিকার থাকুক না থাকুক
ভালবাসবার অধিকার তো আমারো আছে।
আমি আমার ভালবাসাকে বাঁচাতে চেয়েছি।

আমি জীবনের প্রয়োজনে বেঁচে আছি রোজ
জীবন কি আমার প্রয়োজনে কখনো মরবেনা?

১৯.১১.২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।