অবন্তিকা-০৭
- আবরার আকিব ২০-০৪-২০২৪

প্রিয়, অবন্তিকা,
দীর্ঘ বিরহের অনলে পুড়ে রক্তিমপ্রায় গোধূলীর শেষ সীমায় দাড়িয়ে
লিখছি তোমায় এই চিঠি টা।
এমন কেন হলো আমাদের গল্পটা?
কাটাতারের প্রজাপতির মতন রোজ উড়ে বেড়ায়
আগুনের লেলিহান শিখা।
পুড়ে অঙ্গার করি সমস্ত দেহ।
কেন জানি শব্দেরা আজ কবিতা হতে চায়না
কলমের কালি বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে
কাগজের উঠোনে নেই শব্দের আনাগোনা
গোলাপের ঠোঁটে জমে আছে জমাট বাঁধা রক্ত।
কেমন জানি এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে সব
এমন কেন হলো?
এমন কী না হলেও পারতো!
পোস্টমার্টেম এ তোমার কাঁটাছেড়া দেহ
রোজ তাকিয়ে রয় আমার দিকে,
তোমায় হত্যা করেছি আমি
তোমায় হত্যা করেছি আমি
হ্যাঁ আমি তোমায় হত্যা করেছি
আমি ক্রুর ঘাতক হয়ে তোমার গলায় আমার দুই হাত বিদ্ধ করেছি,
তুমি যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তেছিলে
ডার্ক কমেডিয়ানের মতন উচ্চস্বরে হাসতেছিলাম
তোমায় হত্যা করার আগে হাজার বার মৃত্যুদন্ড হয়েছে আমার।
আদালতে বিচার হয়নি কেন জানো?
মৃত মানুষ কে মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিধান নাই আদালতে।
আমি যে মৃত তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না কী!
আমায় প্রতিদিন তীলে-তীলে হত্যা করেছ তুমি
আমায় নিয়ে তুমি এতো অতৃপ্ত ছিলে কেন বলোতো!
তোমার আধুনিকতার বলি হলো সদ্য মানব-ভ্রণ
সে হলো ডাস্টবিনের কাক এর খাবার,
পাড়ায় পাড়ায় তোমার পরকীয়ার খবর ভেসে বেড়াতো,
নতুন প্রেমিকের হাত ধরে পালালে তুমি!
তবুও বেঁচে ছিলাম এক টুকরো সুখের আশায়
আজো দিব্যি বেঁচে আছি
মানুষ হয়ে অমানুষের কালো মুখোশ পড়ে নয়
আজ রাত ১২.০১ মিনিটে আরো একটি কালো মুখোশ পড়ানো হবে আজ
মৃত লাশ কে পুনরায় লাশ বানাবে তারা ঝুলিয়ে
মৃত্যুর যন্ত্রণা হতে মুক্তি পাবো
ইতি
তোমার মেঘ
তুমি কালো মেঘ হয়ে কালবৈশাখী ঝড় হয়ে
এসেছিলে এ জীবনে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।