একশোতলা
- দজিয়েব ২৬-০৪-২০২৪

এখন আমার শুধু বাঙালি চাই
বাঙালি, বাঙালি, আর বাঙালি।
যেখানে যেকটাকে পাবো
তুলে এনে চিড়িয়াখানার খাচায় পুরে রাখবো।

বুঝলি লেলিন, চিড়িয়াখানার ব্যবসায়
বিন্দাস লাভ হচ্ছে আজকাল।
ঐসব বুড়ো আম্রিকান, ইংরেজ
মাগ-মাগীদের খেয়েদেয়ে
আর কোনো কাজকাম নেইতো-
সারাদিন খালি জন্তু জানোয়ার দেখা চাই;
ভালো লেগে গেলে শালারা বাঘ কিনেও পোষে!

সাপ্লাইয়ের কারবারটা তো আবার
আমাকে দেখতে হয়;
এখানেই বড্ড কেলো লেগে আছে রে!
কুকুর বিড়ালের স্টক শেষ হয়ে গেলে ভাবলাম
বাঘ সিংহ দিয়ে কদিন চালিয়ে দেবো;
তা আর হবার জো আছে!
বুড়ো মাগ-মাগীগুলো দেখছি বাঘসিংহীও ছাড়বেনা।
এতো জন্তু জানোয়ারের যোগান আমি দেবো কিভাবে?

বুঝলি লেলিন, তাই ভাবলাম
ওসব বাঘটাগ ছেড়ে বাঙালি ধরি;
হতচ্ছাড়ারা বেলুন আর মায়াবড়ি
দিয়েও জন্মটা ঠিক কমাতে পারলোনা।
সমুদ্রের পানির মতো, বুঝলিতো,
যতোই বালতিতে পুরি- শেষ হবেনা;
তাই ওদেরকে খাচায় পোরাটাই দেখছি লাভ হবে।

কি যে বাজে বকিস তুই!
ভদকা ছেড়ে বাঙলা ধরিসনিতো?
সামলে মামা সামলে
নইলে এসব বোকার মতো কথা বলিস কিভাবে!
ওরা আবার মানুষ নাকি?
মানুষ না ছাই!
উঁচু উঁচু বাড়ি বানালেই বুঝি মানুষ হওয়া যায়;
শালারা তো থাকেই জানোয়ারের মতো।
দেখিসনা, এরা কুত্তা-বিলায়ের মতো
সারাদিন কামড়াকামড়িতে ব্যস্ত।
পশুর মতোই তো ওরা সঙ্গম করে-
ওদের আবার ভালবাসা কোথায় পাস!
লিঙ্গ একবার দাঁড়িয়ে গেলেই হয়
মা-বোন যেই থাকুক সামনে
তার ভিতরে ঢোকানো চায়।

পোষ মানবে কিনা?
তুই পাগল না কি, হ্যাঁ?
একবার শুধু চেয়ে দেখ;
দুশো টাকা আর আর দুটো
মিষ্টি মিষ্টি কথা বললেই
চেটে চেটে তোর পায়ের চামড়া তুলে দেবে!
পাঁচশ দিয়েই দেখনা একবার
জিহ্বা দিয়ে চাটবে তোর পাছা, বুঝলি?
আর ফিরিঙ্গিদের তো এটাই চাই বাছা!

বুঝলিনা? তোর আর বুঝতে হবেনা!
ওসব ব্যবসা ট্যাবসা তোর কম্মো না বাপ
তুই বরং বিপ্লব নিয়েই থাক;
বিজনেসটা আমার উপরে ছেড়ে দে
মাল কামাবো মাল।

চেয়েচেয়ে দেখিস, বাঙালি বেঁচেই
বাড়ি তুলবো পাক্কা একশোতলা!


১৫.০৫.১৯

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

ImranBinkafil
২৭-০৪-২০২০ ১৪:৪৪ মিঃ

অসধারন দাদা ভাই