কাঁক -চোখা মেয়ে
- এস.এম. আরিফ ০৯-০৫-২০২৪

জনশূন্য ল্যাম্প পোস্টের পাশের
স্যাঁতস্যাঁতে দেওয়ালে নাগরিক পোস্টার ।
বারান্দায় অর্কিড ঝুলছে,
জানালার কাঁচ ঘেঁষে এক জোড়া পরিচিত চোখ,
কাজল লেপ্টে গেছে ।
শুকনো ঠোঁটের মিটিমিটি হাঁসি
যেন কয়েক বসন্তের ছোঁয়া পায় নি।
গৃহবন্দি প্রেমিকা
খাঁচার পাখি হয়ে উঠেছে।
রং তুলি ছেড়ে
আপন বুলি ভুলে
মুমূর্ষু অনুভূতিকে পুঁজি কোরে
নিজেকে আড়াল করে নিয়েছে।

ডায়েরির ভাঁজে ভাঁজে বকুল-প্রেতাত্মা
চিরুনি জুড়ে অভিমানী কেশ
টঙ দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা সেই ছেলেটা,
কিছু বলবে কি না জানা হলো না।
প্রিয়োর সবশেষে দেওয়া
রেশমি চুড়ি, আলতা, লিপস্টিকে
শেষ বিকেলের মিষ্টি রোদে আর সাঁজাও হলো না।
গৃহবন্দি প্রেমিকা
খাঁচার পাখি হয়ে উঠেছে।
রং তুলি ছেড়ে
আপন বুলি ভুলে
মুমূর্ষু অনুভূতিকে পুঁজি কোরে
নিজেকে আড়াল করে নিয়েছে।


দেওয়াল ঘড়ির টিক-টিক টিক-টিক শব্দ
বৈদ্যুতিক পাখার ঘূর্ণন
বড়লোকি হাল্কা বাতিই
এখন একটি ঘরের পরিবেশ।
জনশূন্য রাস্তা চলে গেছে লেংটি কুকুরের দখলে
ভয়ার্ত শহরে নেই প্রেমিকের আনাগোনা
দাঁড়োয়ান ছুটি পেয়েছে ক 'দিন যাবতই
তবুও
দেওয়াল টপকে আসছে না কোন যুবক।
গৃহবন্দি প্রেমিকা
খাঁচার পাখি হয়ে উঠেছে।
রং তুলি ছেড়ে
আপন বুলি ভুলে
মুমূর্ষু অনুভূতিকে পুঁজি কোরে
নিজেকে আড়াল করে নিয়েছে।

আর আমি !
আমি এখন -
চারমাথার বাম পাশের গলির ডান দিকের রাস্তাটায়।
প্রিয়ন্তীর বাড়ি পেরুতে পেরুতে
হয়তো মাঝরাত পেরিয়ে যাবে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।