একটি নদীর আর্তনাদ
- এস আই তানভী ২৫-০৪-২০২৪

.
বয়স কত তা জানি না, জানি বুকের প্রশস্ততা
অনেক কম, গভীরতাও তোমাদের নাগালে।
বছরে আষাঢ়-শ্রাবণ এলে জীবিত হই,
তোমাদের দেয়া কষ্টগুলো দূর থেকে দূরে নেই।

আমার সে জোয়ানী শক্তি দেখে তোমরা হাসো
কিন্তু বছরের দশমাস একটি বারের জন্যও
আমার কষ্টের কথা ভাবতে তোমাদের মন চায় না?
তোমরা কেমন মানুষ হে! আবর্জনার স্তুপে
ঢেকে রাখো আমার বুক, কত যে কষ্টে
শ্বাসপ্রশ্বাস নেই- কি করে বুঝাবো?

শহরের সব পঁচা, নোংরা, কসাইখানার উচ্ছিষ্ট
মাছের ভুড়ি, ডিমের খোসা, এমন কি শৌচাগারে---
ছি!ছি! সব কিছু আমার বুকেই ফেলো
বাজার প্রবেশের ঐ ব্রীজটার উপর দাঁড়িয়ে।

ছোটা সোনামণিরা স্কুল যেতে যেতে এখানে এসেই
নাক চেপে ধরে ভৌ-দোড় দেয়; এ দৃশ্য দেখে
আমার শুকনো, ব্যথাভরা বুক থেকে কাঁন্নার
জোয়ার উঠে- তোমাদের লজ্জাহীন কার্যকলাপ
শুধু একা আমার কষ্টের কারণ নয়।
কিছু রুচিশীল মানব, সোনামণির দল, সবুজ প্রকৃতি
আর অবুঝ পশু পাখি সবারই কষ্ট হয়
আষাঢ়-শ্রাবণ না আসা অবধি।

তোমরা কেমন মানুষ হে! কবে তোমাদের
হুশ হবে? ভালোবাসতে শিখবে কবে?
------------
১৯/০৪/১৮ইং

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

Tanvi
১৯-০৪-২০২০ ১০:২৫ মিঃ

যে নদী দেখে দেখে বড় হয়েছি, সেই নদীর জীবন কষ্ট তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।