মুছে যাক সব শ্রেণীতত্ত্ব
- এস আই তানভী ২০-০৪-২০২৪

.
পৃথিবীর জন্মলগ্নের কিছুকাল পর থেকে
মানুষ এসেছে এতদূর! দুটো দলে বিভক্ত হয়ে,
একদল শোষক শ্রেণী; আরেক দল শোষিত
প্রথম দল বিলাসিতায় বাঁচে; অন্যটা অশ্রুতে ধুয়ে।।

কোনরকম বেঁচে থাকা দলটির কারো কারো মাঝে
জ্বলে উঠে প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ, অদম্য সাহসিকতা,
বেঁধে যায় লড়াই যুগে যুগে সাম্যের দাবী নিয়ে
শ্রেণী ব্যবধান দূর হোক, জয়ী হোক মানবতা।।

আধুনিক সমাজ সেই দুটো শ্রেণীকে দিয়েছে নতুন নাম
এক শ্রেণী মালিকপক্ষ, অন্য শ্রেণীটা অসহায় শ্রমিক;
শ্রমিকের হাড়ভাঙা শ্রমে গড়ে উঠে সভ্যতার উন্নয়ন
আর মালিকেরা হয়ে উঠে নির্মম, বর্বর, দাম্ভিক।

ওরা মঞ্চ কাঁপিয়ে ঘোষণা দেয়; সব শ্রমিকেরা আমাদের ভাই
আনন্দে শ্রমিকের চোখে আসে জল, নেচে উঠে মন,
অথচ; কৌশলের সুতোয় বেঁধে রাখে শ্রমিকের হাত পা
নিরুপায়, শ্রমিকেরা হতে থাকে আজন্ম দহন।।

শুধু জোঠরের জ্বালা নেভাতে জ্বলে জ্বলে শ্রমিকেরা
গড়ে যায় পৃথিবীর নতুন নকশা, নতুন রূপ,
মালিকেরা হয় আরো শক্তিশালী, কৌশলী অত্যাচারী
শ্রমিকের হৃদ গহীনে জ্বলে অসহায়ত্বের নীল ধূপ।।

তবুও যখন আসে মহান 'মে দিবস' স্বপ্নে ভাসি আমি
হবে মালিক শ্রমিক ভাই ভাই, থাকবে না উঁচুনিচু ভূমি।

ন্যায্য দাবী আদায়ে শ্রমিকেরা যতই করুক আমরণ লড়াই
মালিকের বিবেক যদি না খুলে; কোন লাভ নাই।।
------------------
০৮/০৪/১৯ইং

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

Tanvi
১৬-০৫-২০২০ ১১:০৫ মিঃ

শুদ্ধস্বর ডটকম অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত