চন্দ্রাবতী -২
- আবরার আকিব ২০-০৫-২০২৪

নিষিদ্ধ আঁধার, নৈঃশব্দের এই আয়োজনে চুপচাপ বসে আছে চন্দ্রাবতী,
চন্দ্রাবতীর মতন ভালো নেই!
মনের আকাশে মেঘ জমেছে
চন্দ্রাবতী আনমনে ভাবে আর প্রশ্ন করে নিজেকে
'এই সমাজ যে তাকে রক্ষিতা বলে
সে তো তবে এই সমাজ কে রক্ষা করে
তবে তার স্বিকৃতি নেই কেনো এই সমাজে !
সে মরলে তো তার শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা করতে দিবেনা সমাজ
তাহলে এই সমাজ কে রক্ষা করে কী পাবে সে!
চন্দ্রাবতি শহরের ল্যাম্পোস্ট এর নীচে আছে বসে,
একটু অদৃুরে একটা কাক মৃদুস্বরে চন্দ্রাবতী কে ঢেকে উঠে!
মৈথুনে আসক্ত কবি কাকের বেশে এবার চন্দ্রাবতীর কাছে এসেছে
তার সারা শরীর থেকে আসছে ডাস্টবিনের উৎকট গন্ধ!
সে চন্দ্রবতীর কাছে এসে বসলো
চন্দ্রাবতী নাক চেপে ধরে বললো,
দূর হো নিকৃষ্ট কবি,
তোর সারা শরীরে পরিত্যক্ত শহরের গন্ধ!
কবি চিৎকার দিয়ে উঠে, আর বলে
'চন্দ্রা তোমায় ভুলে থাকা আর হয়ে উঠতেছেনা,
ফিরে এসো চন্দ্রা, আমার বাহুডোরে তোমায় রাখবো যত্ন করে।'
চন্দ্রাবতী সহস্র কম্পনে হেসে উঠে বললো
'ফিরিয়ে নিতে চাস আমায়,
ফিরিয়ে দিতে পারবি আমার শৈশব,
আমার হারানো কুমারীত্ব ফিরিয়ে দিতে পারবি!
ফিরিয়ে দিতে পারবি আমার সম্মান
এই গ্রাফিতি তে নগ্ন আমি কে কী ঢেকে দিতে পারবি!
এই বলে চন্দ্রা আবারো এসিড ছুড়ে মারে কবির সারা শরীরে
কবি পুড়ে ভস্ম হয়ে পড়ে রয় নতুন আঁকা গ্রাফিতির কাক হয়ে
চন্দ্রাবতী নগ্ন হয়ে সমগ্র গায়ে এসিড ডেলে গ্রাফিতির নগ্ন ছবি হয়ে
উড়ে বেড়ায় শহরের নিষিদ্ধ প্রাচীরের দেয়ালে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।