বাঁচতে চাইছি আরও একবার
- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী ২০-০৫-২০২৪

বাঁচতে চাইছি আরও একবার।
তোকে ভালোবাসার সাধ জাগছে যে,
তোর সাথে শেষ বিকেলে ছাদে একটু ঘোরাঘুরি করতে,
একেলা ডেকে যাবে নিঃসঙ্গ কোকিল,
নিচ থেকে হেঁটে যাবে একদল মেয়েরা
বাতাসে ছড়িয়ে তীব্র সুবাস।

বাঁচতে চাইছি আরও একবার।
অলস দুপুরে তোর সাথে জমিয়ে গল্প করতে,
মিত্তিরদের পুরনো জমিদার বাড়ির চিলেকোঠায়।
পুরনো ইঁট কাঠ সুড়কির গন্ধে মাখা কথা,
পায়ের কাছে দৌড়ে যাবে একটা দুটো ধূর্ত ইঁদুর।

বাঁচতে চাইছি আরও একবার।
কলেজ স্ট্রীটে একসাথে বই কিনতে যাবার শখ,
এ দোকান ও দোকান ঘুরে বেড়াবো।
"না না এটা পছন্দ হচ্ছে না, অন্যটা দেখান,
এই দেখতো, এটাই কি নেব?"
বলবি আমায়।

বাঁচতে চাইছি আরও একবার,
সারারাত ধরে তোর সাথে মেসেঞ্জারে ব্যস্ত থাকার জন্য।
"হ্যাঁ, বাবা-মা ও ঘরে ঘুমিয়ে পড়েছে,
আমি সিঁড়িঘরে, ফোনটা ধর,
তুই কোথায়?"

বাঁচতে চাইছি আরও একবার।
তুই কলেজ ফেরত অপেক্ষা করবি আমার জন্য শিয়ালদহ স্টেশনে,
হাজার হাজার লোকের ভিড়,
এদিক ওদিক তাকাবি আর হোয়াটসঅ্যাপে ব্যস্ত থাকা-
সারাদিন অফিসের খাটুনির পর ক্লান্ত মুখে পিছন থেকে এসে তোর কাঁধে হাত রাখবো।
"একটু কফি খাওয়া আগে..."

বাঁচতে চাইছি আরও একবার।
লোকলজ্জা জ্ঞান না মেনে রাস্তায় চলতে চলতে হঠাৎই তোকে বলে উঠব, "আই লাভ ইউ"।
তুই বলবি, "হচ্ছেটা কী,
পাগল হয়ে গেছিস,
লোকে কী ভাববে?"
"লোকে যা ভাবুক, আমি পাগল।"

বাঁচতে চাইছি আরও একবার।
একটা কফি শপে ডেকে তোকে বলবো ভাবি সেই কথাটা-
"বাবা মাকে বলি এবার বিয়ের ব্যাপারটা"।
তুই বলে উঠবি, "দাঁড়া, আমার বাড়ি থেকে এখন ওসবে রাজি নয়।"

হ্যাঁ বাঁচতে চাইছি আরও একবার।
মৃত্যুর সাথে লড়ছি এখন,
সারা শরীরে অসহ্য ব্যথা, যন্ত্রণা,
বাঁচার আশা নেই!
ডাক্তার জবাব দিয়ে গেছেন,
কখন ডাক আসে ওপরওয়ালার!
তবু জোর করে হলেও,
তোর জন্য রে,
শুধু তোর জন্য বাঁচতে চাইছি আরও একবার।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।