অরণ্যের বহ্নিশিখা
- মো: শফিকুল ইসলাম মোল্লা ( সজীব) ২৬-০৪-২০২৪

বুকের জমিনে করেছিলাম কিছু স্বপ্নের চাষ,
তাদের দ্রুত বংশবিস্তারে ঈর্ষান্বীত পুরো প্রকৃতি ৷
সেদিন ‘তুমি' নামক একটি সাদা গোলাপ ফুটেছিলো ,
যাকে স্বপ্নের রাণী বানিয়ে আমি মাতাল হলাম ৷

সুবাসিত আয়োজনে মুখরিত সুর,
দিবা-নিশি বাড়িয়ে দিয়ে হৃদস্পন্দন ৷
বলেছিলে আমার বুনো স্বপ্নের মাঝে
গড়বে সুখের প্রাসাদ!

অথচ প্রতিশ্রুতি ভুলে নতুন নীড়ে,
ভ্রমরের আলিঙ্গনে উন্নত ভুবনে ৷
সেই অরণ্যের প্রাণ গেল শুকিয়ে,
শূন্যতায় ভরে গেল বুক ৷

বহ্নিশিখা ছাই করে দিলো স্বপ্নের জগতটাকে,
আর আমারই নামে হলো মামলা!
কাঠগড়াতে দাড় করালে আমাকেই!
আচ্ছা খেয়লীপনায় কখনও
বুকের জমিনে আগুন দেয়া যায়?

অস্তিত্বের সাথে মিশে থাকা ঘ্রাণ ,
শেকড়ের গভীরতা , প্রত্যাশিত সকাল
কোনোদিনই মূল্য হারায় নি ৷
শুধু তুমিই বোঝনি ! মানতে পারি না!
তবে অভিযোগ কেন?
কেন অভিমান?
একি বহ্নিশিখার পরিবর্তিত রূপ,
নাকি অযাচিত অপমান?
আত্মা আজ প্রশ্নবিদ্ধ হবে কেন অকারন?

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।