বারবার তোমায় অনুভূতি বিলিয়ে দিতে চাই
- মুহাম্মাদ শরিফ হোসাইন ১৯-০৫-২০২৪

কিগো,আমি কি তোমায় একবারই ফোন দিতে পারবো,তার বেশী নয়?
যদি তাই হয় -
তুমিও স্পষ্ট শুনে রাখো,আমিও চেটে-ফুটে একবারের ফোনেই
লিমিট শেষ করার লোক নই।

চোখ,কান,নাক,জিহ্বা,ত্বক সব নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে
ওদের বলবো,তোদের মা নেই বাবা,এবারের মতো বিদায় হ।
ও ফিরে আসলে আমি জানাবো,তোরাও ফিরে আসিস সে সময়
বোবা দেহের সাথে,জীবন্ত অনুভূতি কি মানানসই হয়?

আমি এক,দুই,তিন,চার,পাঁচ,ছয়-নয় এভাবে গুনতে গুনতে দিন কাটাবো
মনে রেখো তাও শেষ ফোনটা দেয়া হবে না হয়তো!

সেই শাবিপ্রবি' র প্রভাষকের পোস্ট-লাইক থেকে আমার ইনবক্স পর্যন্ত
তোমাকে বুক বিছিয়ে আনতে কতো কষ্ট হয়েছে জানো তো?
কতো শব্দ আত্মহুতি দিয়েছে,কি-বোর্ডটা কতো ব্যাথা পেয়েছে হিসেব রেখেছো?
তোমার ফোন নাম্বার চেয়েছি বলে,তুমি মনে করেছ আমি তোমায় পরীক্ষা করছি
আমি কিসের পরীক্ষক,তুমি ভালো মেয়ে ই তো!
ঘোড়ার ডিম,আমার নাম্বার প্রয়োজন তাই চেয়েছি,আর কিছু নয়।

আমি হ্যালো বলতেই তুমি ভালো আছি কিনা জানতে চাইলে
তোমার খবর জানতে চাইলে বললে,আমি তেমন ফর্সা নই -
আমার আবার কিসের পছন্দ!
জানলাম,তুমি বিয়ের জন্য অপেক্ষাও করছো..
তখন জানুয়ারি এগারো ঠিক সন্ধ্যে ছ'টা ঊনপঞ্চাশ বোধহয়।

আমি তোমায় বলেছিলাম,আমি তোমায় দেখেছি
আমার গেল বছরের নভেম্বর মাসের শেষ দিনের কবিতায়,তুমি বিশ্বাস করো নি।
আমি সে কবিতায় বলেছিলাম,স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার সে সৃজন, তুমি একজন।
তুমি তাও বিশ্বাস করলে না-
আমি সে কবিতায় বলেছি চপলা, কৃষ্ণা,চঞ্চলা ওহে পরগাছা লতার বোন
তুমি আমার জ্ঞান,গান আর কাব্য চরন।
দেখো দেখো তোমায় আমি কালো বলেছি,লতা বলেছি আরও বলেছি তোমার ডাগর নয়ন
আর,আর কি বলতে পারলে আমায় করবে না অপসারন?
কি গো,কিছুতো বলতে হয়!

আজ শুধু দূরাশা এই মনে
যদি দেখি আর সময় নেই হাতে একেবারেই
যদি বুঝে উঠতে পারি আর এক পলক বেঁচে থাকবো হয়তো
সে পলকেই এগাররোটা ডিজিট চেপে বিদায় হবো হয়তো।
তুমি সেদিন তোমার নাম্বার খোলা রেখো,প্রিয়।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।