"বিচ্ছিন্ন কথামালা"
- আরিফুল হক - অপ্রকাশিত ২০-০৫-২০২৪

দুজনের কথাঃ
এখানে দুটো হলদে পাতার বাস,
ঠিক বুক বাতায়নের অহমে ঘা,
ঠিক দাঁড়িয়ে মনের ভেতর আশ,
এমন ক্ষনে, বাতাস হলো ঝড়!
বৃন্তচুত্য পরে'র মত পত্রযুগল!
যায় যে উড়ে , মহাকাশের প্রান্ত
ধরে,জানো এ এক নব্য ইতিহাস,
বশিষ্ঠর শাপে জন্ম নিলো নোংরা
(পাষান মুর্তি)
বেড়িয়ে পড়া প্রান্তর বুকে প্রান্তর;
বিজনে, বিমুখ অসুখে আমাদের
আর কথা হয়নি;আমাদের শোনা
হয়নি লক্ষ্মীপেঁচার পাঁচালী,আমি
হুতুমপেঁচার বর,ঠিকি জানো,আর
তুমি!ট্রান্স সাইবেরিয়ান পরিযায়ী,
বৃষ্টি কাঁধে বৃষ্টি ডানায়,বরফ ভাঙো,
বরফ গড়ো, বরফ দিয়ে ঘরবসতি;
একার কথাঃ
আধুনিক নগরী- মসৃন পথে হেঁটে যাও,
ম্যাপেল পাতার কি যেন রঙ ধরেছে
ওধারে? পাইনগুলো কি নতুন আরোহী
ব্যসন!জানিয়ে গেছে বিভক্তির নতুন
উপকথা, ওক কাঠের কপাট দিয়েছো
বাঁধা হৃদপিন্ডে? পণ করেছো খুলবেনা
আর; ঝঞ্ঝাট যত যাক বিপাকে, যাক
-ঘুর্নীবাতায়নে!- জানালায় বাধো নতুন
মানিপ্ল্যান্টের গাছ,অথবা গরাদে সাজাও
সুক্ষ্ম তারকাটা,হাত-বিধে যাক জনমের
মত; না! না! রক্ত দেখে তুমি ভয় পেয়োনা,
থম ধরোনা! এ রক্তকণা আমার,ধ্রুপদী
রঙের বাহার! চোখ ভরে দেখে নিও!আমি
লোহিত সাগর বুক-পুষে রাখি; লুকিয়ে
ফেলবো তাঁকে, তোমার কষ্টগুলো দিও!
আমার কথাঃ
আনন মেখে নিও সাগরের জল, ছলে লোনা
পানির ঢল নেমে গেলে,অনিমেষ দৃষ্টিপাত,
লুকিয়ে রেখো, ছল করোনা আদৎ বিহীন, (অদ্য ছেড়ে দাও)
ছলের বড়াই এবার না হয় নাইবা করলে বলো!
তুমি এবার চোখের তারা ফিরিয়ে না হয় রাখ,
কি জানি আবার, কবে থেকে উঁকি দিয়ে দেখি;
ডুব দিতে চাই যদি! ও চোখে বিশালাক্ষী কথা কয়,
আমি এক দৈত্য-মহিষাসুর বুকে পেতে দেবো নয়,
তুমি বিধিয়ে দিও বর্শা-ফলা, রক্ত চেটে খেয়ে নিও,
বুকে ঠোঁট দিয়ে পান করে নিও রক্তজবার প্রান!
দশমীর দিনে হল্লাকরে বিষন্ন সে আরতী বিসর্জন,
আমাদের প্রেম ধীরে ধীরেই হোক রক্তে অবসান!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।