"কৃষকের দিন রাত্রী"
- ~নীল নক্ষত্র ১৮-০৫-২০২৪

আমি কিছু লিখতে চাচ্ছি ঠিক আমি না।
অদৃশ্য কেউ একজন আমাকে তাগাদা দেয়।
বলে এই বোকা ছেলে তোমারতো এখন কিছু লেখা দরকার।
ছিছি!কবি তুমি বসে আছ কেন?
আমারতো সময় নেই আমার কত কাজ।
এই এখন তোমার কাছে এসছি,এরকম আর কত জায়গায় যেতে হবে আমার।
একটু কান্ড-ঙ্গান নেই তোমার।
আমাকে কতখন বসিয়ে রেখেছো কিছুতো লেখ।
কিন্তু কি লিখব?
এত কিছু লেখার প্রতি ইঞ্চিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বৈষম্য অনাচার।
তুমি কি অন্ধ হলে কিছুইতো বুঝি না তোমার সমাচার।
তুমি বড় স্বার্থপর হয়েছো এখন,
কথা দিয়ে এতো সহজেই ভুলে গেলে।
বলেছিলে লিখবে সেটেলমেন্ট অফিসের সেই অনাচারের কথা।
সামান্য কটা টাকা বকশিসের জন্য আটকে পড়েছে কৃষকের তিন শতাংশ জমি।
কৃষকের এত অবহেলা এতো সহজেই ভুলে গিয়েছ তুমি।
ভুলে গেলে কৃষকের গাল বেয়ে ঝরছিল অপমানের অবিরল ব্যাথা।
লিখতে চেয়েছিলে কি হারে বেড়েছে সার কিটনাশকের টাকা?
এক লিটার ডিজেল কিনতে কিভাবে কৃষকের পকেট হয়েছে ফাঁকা।
লিখতে চেয়েছিলে কৃষকেরা একটুও ভাল নেই,
যতটা বাহির থেকে যায় দেখা।
কিভাবে পটল বেগুনের বস্তা ভিজেছে ওদুচোখের জল গড়ে পড়ে।
প্রতি হাটবার ফজরের সময় সুখের নিদ্রা ছেড়ে,
কেমনে জাগে কৃষক পরিবার।
ছোটে পটল বেগুনের খেতে নয়টা দশটা অবধি ফসল তোলে থেকে বাসিমুখে অনাহার।
তারপর যায় হাটে চঞ্চল মন তার খরচের ব্যাগ সাথে।
বিরস ভঙ্গিতে তপ্ত দুপুরে ঘরে ফিরে কৃষক দুখানা সিঙ্গারা হাতে।
বলে কৃষকের ছেলে আব্বা আজ পটল কত বেঁচালে?
সেকথা আর বলিসনে বাপ এক মন পটল মাত্র তিন কুড়ি বেগুন দেড়স টাকা।
পিয়াজ মরিচ সয়াবিন এক লিটার কিনতে আমার পকেট হয়েছে ফাঁকা।
কৃষক এখন জমি বেচে খায় পুষে না আর ফসল চাষে।
কৃষকের ছেলে ভার্সিটি পড়ে,
তাই না খেয়ে না পড়ে পাঠায় টাকা প্রতিমাসে।
ছেলে একদিন দুঃখ ঘুচাবে কৃষক রোজই নিদ্রা যায় এমন অভিলাষে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।