"সহজ বাহাস"
- আরিফুল হক - অপ্রকাশিত ২০-০৫-২০২৪

-শোন, খোঁপাতে কি দিচ্ছো আজ? কাঠবেলীর ঝালর?
নাকি পেড়ে দেবো কিছু জারুল... তুলে দেবো দোলনচাঁপা?
লালচে পাড়ের শাড়ি, সাদা জমিন,
এই যাহ! দাগ পড়ে গেলো! চোরকাঁটাও আছে!
আচ্ছা, কাল আসোনি কেন?
-খোঁপায় দেবো সোনালু ফুল... যাকে বাঁদরলাঠিও বলে...
বাঁদর, তুমি দাওনা পেড়ে!
এই রাগ করেছো?
আচ্ছা দোলনচাঁপা দিও!
কিন্তু তুমি কেমন মানুষ বলো, দোলনচাঁপা খোঁপায় যায়?
তবে ওই জারুল গুলো দাও!
এই দেখোনা, এই দাগ আর উঠবে বলো? এহ মাগো...
চারিদিকে এতো নোংরা কেন?
হ্যা চোরকাঁটাদের তোমার সাথে দোস্তি,
তাই শাড়ির পাড়ের টান!
- দেখো, বিশীর্ন গাছ, পাতার বড্ড আকাল,
শুকনো ডালে দুটো বাজপাখির বাসা!
বাজপাখিদের হয়নি শিকার,
তুমি কাল আসনি কেন?
বাসস্টপের লোহার বেঞ্চটা রৌদ্র পড়ে ভীষন গরম!
সিগারেটটাও কাল পানসে ছিলো, চায়ের দোকান সরগরমে-
আমিই ছিলাম চুপ! তুমি কাল দিয়েছিলে ডুব!
- তুমি এমন কেন! খাওনি বুঝি, মুখ শুকনো,
মাথার চুলে দাও চিরুনি! কাছে এসো... আঁচড়ে দেই...
উফ তুমি বড্ড ডাকাত!
মাথা নামাও, ঠোঁট ভাসাতে বলিনি!
যখন তখন দস্যিপনা,
ভাল্লাগেনা ছাই, এবার আমি যদি সত্যি চলে যাই!
দাড়ি কামাওনি কদিন! জ্বালা ধরে......
একটু দাঁড়াও, দেখি...
তোমার চোখে আমায় কেমন লাগে!
খাওনা কেন? এবার সিগারেটটা ছাড়ো!
উফ তুমি এমন জ্বালাতে পারো!
- তাকাও, দেখতে কি পাও? মাটির তৈরী পরি,
পলিমাটির গন্ধভরা,
নদীর ঢেউয়ের বাঁকানো সে বাঁক,
ঢল নেমেছে মেঘের... তাকাও আমার চোখে তাকাও...
দেখবে ঠোঁটের কোনে ঘামের বিন্দু, এক সিন্ধু মায়া!
আমার চোখে তোমার চোখের ছায়া! পড়তে পারো?
জংলা ভুঁইয়ে-
ফসলের ঘুম বুঝতে পারো? লাঙ্গল চষে লাঙ্গল কষে...
শস্যবীজের ঘুম, ভাবতে পারো?
আচ্ছা বলতো, কাল আসনি কেন?
- চুপ, আর কথা নয়...... এবার ঘুমাও...
এরপরে আমি জংলা ছাপা শাড়ি, জমিন দিলাম পেতে...
মাথার উপর ছায়া দিলাম, তোমায় দিলাম ঢেকে...
তুমি মেঘ দেখেছো
কোমরে তাকাও... তুমি মেঘের কোলে ঘুমাও...
এস ঘুম পাড়াবো, তোমার যাচ্ছে সময় চলে...
কাল আসিনি কেন? বুঝলেনা তো!......
কাল আসিনি আমি আজকে আসবো বলে!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।