বিমুগ্ধতা
- এম এ মজিদ চাকলাদার ১২-০৫-২০২৪

বিমুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে?
যখন দেখি বোশেখ মাসেও নিজের আস্তানা ছেড়ে
আমার মাথা'পরে নেমে আসে মেঘ
বাড়ায় কুয়াশা - ঘন সফেদ কুয়াশা
মাড়ি ও মোড়কে নাস্তানাবুদ হয় দেশ।

এখানে কাকের মাংশ বক্ষণ করে কাক
পাতার ফাঁকে কোকিলেরা তামাশা দেখে
মনে মনে ভাবে- হায়! চলছে একী সার্কাস;
পাহাড়ি ঢলের পানি আর কৃষকের চোখের জল
এক হয়ে বাড়ায় হাওরের নাব্যতা
আমরা মুগ্ধ হই - যখন দেখি -
ইউরেনিয়াম দূষণে মরে ভেসে ওঠে
অজস্র মাছ - কী মনোমুগ্ধকর! কী সুন্দর দৃশ্য!

অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ চলছে এখানে
সবগুলো প্রকল্পই জাগতিক সুখের সাথে সম্পৃক্ত
কার সুখ? এমন প্রশ্ন করলে তার জন্য
কারাকূপের একটি সুদৃশ্য কক্ষ বরাদ্দ দেয়া আছে
আমরা উত্তর দেবনা, তুমি কারাগারে বসে
ঠিক করবে তোমার উত্তর। না পারলে
এসে দেখে যেও আমাদের প্রকল্পে
কিভাবে সতত আঙ্গুল ফুলে হচ্ছে কলাগাছ!

স্বপ্নেরও কেনা-বেঁচা চলে এখানে
অনেক মরহুম বেতারে সংকেত পাঠায় -
আর কতিপয় আজ্ঞাবহ দাস সেই সংকেততত্ত্ব
বিশ্লেষণ করে ঠিক করে জাতির ভবিষ্যত কর্মপন্থা
মৃত্যুতত্ত্বের এমন নান্দনিকতা দেখে
বিমুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে?

কত যুগের, কত দেশের অবহেলা আমরা সয়েছি
সয়েছি কত অকারণে রক্তপাত
গনগনে সূর্যের তাপে ঘিলু টকবগ করে ফুটেছে
এক টুকরা মেঘেও ছায়া দেয়নি কখনো
এতকিছুর পর আমরা এখন আমাদের
এখন দেখো বোশেখেও মেঘের ছড়াছড়ি।

বিমুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে?

৩০/০৪/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।