তুই
- মাহিন - আল বিরুণী - (এখনও গ্রন্থ প্রকাশের সৌভাগ্য হয়নি) ১১-০৫-২০২৪

তুই

- মাহিন - আল বিরুণী


আমাকে কাঁদাতে তোর এত আয়োজন;
তবু এই জীবনে আজ তুই প্রয়োজন।

মায়াবী চাঁদ যখন ছড়ায় জোৎসনা,
অশ্রু জলে ভাসি আমি কেউ তো জানে না।

চাই না তোকে আমি আর প্রাণ খুলে হাসতে,
ঠ্যাকা তাই চাই শুধু একটুখানি বাঁচতে।

যেই তুই আমি ছাড়া থাকতে পারতি না,
সেই তুই বদলে গেছিস মানতে পারি না।

পারলে তুই চলে আয়, এই বৃষ্টিকালে।
তোর জন্য আখিঁ মোর রোজ অশ্রু ঢালে।

কৃষ্ণচূড়া গাছটা হয় ফুলে ফুলে লাল;
ভেবে কি দেখিস এই আবেগীর হাল?

ধান শিষ আমাকে মাথা যে নাড়ায়;
সখিরা তো এখনও পানি আনতে যায়।

তাদের সাথে শুধু তুই আসিস না,
মাথা ছুঁয়ে বলতে পারবি? মোরে ভাবিস না।

আমাকে কাঁদাতে তোর এত আয়োজন;
এই নিশ্বাস তো নাম জপে, কান পেতে শোন।

ভোরবেলা তে দেখিস কি আজও শুক তারা
আমার কাছে প্রতি ভোরে দেয় সে ধরা।

পায়ে কি আছে আজও টিনের নূপুর?
কাঁচে চুড়ি পরিস কি এলে বৈশাখী দুপুর?

কেন জানি মনে পরে সে বসন্তী মেলা।
ঐ যে তোরে চড়িয়ে ছিলাম কলার ভেলা।

মনে কি আছে আজও সেই সব ঘটনা?
এখন হয়তো তোর মন আর এইসব বুঝে না।

জৈষ্ঠ্য মাসের দুপুরের সেই যে আম পাড়া,
নিয়ে আসতাম তোর প্রিয় ফজলী গাছ পড়া।

কেমনে তুই পারলি রে আমায় ফেলে যেতে;
সত্যি আমি পারি না রে এইটা মেনে নিতে।

পারলে তুই ছুটে আয়, বর্ষা ভেজা গাঁয়।
এই বুকে চিরকালই আছে তোর জন্য ঠাঁই।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।