সন্তপ্ত আর্তনাদ
- ইফতেখার হোসেন - আবেগসন্তের বাক্যনেশা ১২-০৫-২০২৪

চিতকার কি একবারও কাঁদায়নি তোদের বিবেক,
পশু তোরা! তোদেরই বলছি-
মেয়েটি কেঁদেছিল খুব,
চেয়েছিল ছাড়াতে,
মাকে ডেকেছে,
তীব্র কষ্টের ঘোরে ভেবেছিল বাবা বুঝি এল বাঁচাতে,
কারো সায় না পেয়ে তাকেও ডেকেছিল!
কেউ দেয়নি সারা
কেমনে পারলি তোরা পিশাচেরা?
শিহরণ তোদের কি এতই স্ববেগ?
বোন যে আমার সদ্য সাত পেরিয়ে আট।

গুন গুন করে গান গাইতে শিখলো কেবল
শত বিষাদের সমাধার রূপ তার,
নানীর পান আনতে গিয়েছিল
ফেরেনি আর, ফিরবেনা কোন কালে;
নাহয় বিকৃতপনার সাধ মিটিয়ে ছেড়ে দিতি
ওরে পিশাচের দল! এক্টু পানিও খেতে দেসনি তোরা
খুটে খুটে শুধু খেয়েছিস অপরিণত সব,
সবে সাত পেরিয়ে আটের পৃথিবীর;
নাহয় তৃপ্তির শেষে ছেড়ে দিতি,
খুরিয়ে খুরিয়ে বোনটি আমার খুঁজে নিত বাট।

চিৎকার করতেও পায়নি খুকী আমার
মুখ যে চেপে রেখেছিলি তোরা,
নিঃশ্বাস বন্ধ হচ্ছিল,
বুঝতেও পারেনি অবুঝ,কি নির্মমে সে
কি বর্বরতায়,
রক্তে ভেসে গিয়েছিল মেঝে।

যে গলা টিপে সাক্ষী লুকাতে চেয়েছিস তোরা,
ওই মিষ্টি গলায় গুন গুন করতো পাখিটা
কত যন্ত্রনার ভারে তাকে তুলে দিলি যমরাজের হাতে;
আচ্চা? না হয় দেহখানা ফিরিয়ে দিতি
জরিয়ে ধরে কাঁদতাম,
পরমে গোসল দিয়ে কবরে শোয়াতাম!
প্রাণখানা নিয়েই না হয় ছেড়ে দিতি,
ওরে পাশানের দল রক্তে ভেজা লাশেক তোরা শান্তি দেসনি,
সারারাত খুকীর চনমনে দেহখানা ডুবেছিল জলে,
এক্টুও কি মন কাঁদেনি তোদের?

তিনি সব দেখেছিলেন শুধু
আর প্রেরে ছিলেন যমরাজের,
বোনটি আমার কেবল ছড়া কবিতা আত্তস্থ করতে শিখেছে;
নিজ হাতে এখনো খেতে শেখেনি ভাত
খুকী আমার ছিল কেবল সাত পেরিয়ে আট।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।