অভিবাসী
- ইফতেখার হোসেন - আবেগসন্তের বাক্যনেশা ১২-০৫-২০২৪

ভাগ্য কত বদলাবে মিলে-হবে
হাজার-লাখের স্বপ্ন দেখানো পটুলোক-যপে,

দেখাতে শোনাতে কত সুন্দর জীবন
মস্তকে পরমে বুলায় হাত
মেঘ না চাইতে বৃষ্টি এযে,
প্রয়োজন পূর্বেই হাজির কথোপকথনের মাছ-ভাত।

অত:পর নিল সর্বসারা পকেট ভরে
রেখে গেল সাথে সুদ সুধানোর ভিড়ে,

পটুলোকের বাক্যে-“ অইবোনা মানে”- কত সহজে শোনা যায়,
পকেট ভারী হতে না হতেই কে তারে পায়।

দিন ভাঙতে, ঋণ ভাঙতে জীবন জলে ভাসে
তারপর বর্জ্র কঠিন শর্ত আরোপে ভ্রমণ সময় আসে,
মাছ-ভাতের কথোপকথনে কতো সহজ দ্রষ্টালো
আদতে পশুর ডেরামে-কোরামে কপাল পোড়ালো।

পটুলোকের বাক্যে-“দিবোনা মানে?”- কত হিংস্রে শোনা যায়
কতো পরেনি দিতে বাকী অর্থ,তাই জিন্দা মৃৎচাপা খায়,

উদরের জান-সুদূরের যান দুটোই গেল থেমে
কবজে বাধা জঙ্গলে শত বর্বর এল নেমে।
হিংস্র প্রাণীর থাবা পরেনি, তবু প্রকৃতি ভারী মৃতদেহের ধূপে
পটুলোক সপ্ন-দেশে প্রেরে, ফেলল নিরব মৃত্যু কূপে।

ভাবছি বসে কপাল ঘষে, কি ফেলব চোখের পানি
তারা দেখিয়েছিলে সুখ, অসুখে তাই দেখেছিলাম আমরা-আমি;
বাট দিয়েছি, ভিটা দিয়েছি, আরো দিয়েছি সুদে কত আনি
সব হারিয়ে মৃতদের সাথে বেচে আছি শুধু জানি।

রেডিও-টেভিতে বহুবার শুনেছি, এদেশের সকলে নাকি স্বাধীন অধিবাসী
অত:পর আমারই দেশী পটুলোক-দালাল-পশুলোক, দেখালো সপ্ন আর বানালো অভিবাসী।

কি আর করব দু:খ, কত বাড়াবো ক্ষোভে
জেনে রেখো, মরেছে যত- সবে মরেনি শুধু লোভে
আমাদের লোকের দিন বদলানো অসম্ভব এ রাজ্যে
তবু কেউ দেখালে সপ্ন,ফ্যাকাসে মুখ তাকিয়ে
যদি কিছু মেলে সাহায্যে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।