কোরবানির রহস্যময় কিচ্ছা
- মুহাম্মদ জে.এইচ (রপ্পি) ১২-০৫-২০২৪

কোরবানির রহস্যময় কিচ্ছা

-------------------------------------
* দূর গগনে, শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠেছে
শুনি চারদিকে মাইকিং হলো শুরু,
হাট বসিবে হাট বসিবে উল্লেখ্য স্থানে
তাতে আসবে বাহারি সজ্জায়
মহিষ, ছাগল, দুম্বা, ভেড়া,
আর ও তেজি তাজা গরু
তাই চারদিকেতে মাইকিং হলো শুরু।
বিশ্ব নিখিলে মুসলিমজাতি ঐক্য হয়ে
সাধ্যমত পশু কিনবে সবাই,
আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার আশায় বিশ্ব মুসলিম
পশু করিবে জবাই।
সেদিন ঐ ছিল প্রতিপালকের প্রথম হুকুম
ইব্রাহিম নবীর প্রতি,
নিজের প্রিয় একটা কিছু দিতেই হবে পশু নই
তা কিন্তু মানব জাতি।
নবীর বুঝতে বাকি রইলো না আর
নিজের ধন মানিক রতন ইসমাইলকে
আল্লাহর দরবারে দিতে হবে তার প্রতিদান,
এর আগে ছিলনা মোটেও পশু কোরবান।
আল্লাহ প্রেমের আশেক তিনি
তাই পুত্র ধরলেন বাজি,
ঘরের বিবিকে না জানিয়ে ইসমাইলকে তিনি
জবাই করবেন আজি।
বিবিকে সুধালেন ইব্রাহিম নবী
ছেলেকে নিয়ে ঘুরিতে যাবো
যাও নিজ হস্তে সাজিয়ে দাও গো তারে ,
মনে মনে বলিতে লাগিলো নবী
ক্ষমা করো ওগো বিবি আর কোনদিন জগতে তুমি
ছেলেকে পাবে না তোমার ধারে।
অতঃপর নবী বিসমিল্লাহ বলিয়া বেড়িয়ে পড়লো
ছেলে ইসমাইলকে সাথে লয়ে,
ছেলেকে সময় মত কোরবান করিবেন নবী
আল্লাহপাকের ভয়ে।
চলার পথে মানুষ রূপে ইবলিশ শয়তান
ইসমাইলকে শুধায়,
কোথায় যাচ্ছো তুমি বাবার সাথে
জানো কি তুমি তোমারে আজ জবাই করিতে
হুকুম দিছেন আল্লায়।
এ কথাটা শুনিয়া ছোট্ট ইসমাইল বলিলো
ইবিলশ আমি সর্বদা আছি রে রাজি,
আল্লাহর রাস্তায় শহীদি মরণ হবে
দিব খুশিতে ঈমান বাজি।
ইবলিশ শয়তান মনটা ভার করে তখন
নবীর বিবি জানের কাছে এলো,
তাহার কাছে ও আল্লাহর সন্তুষ্ট কামনায়
ইবলিশ শয়তান একই জবাব পেলো।
যখন মিনার বাজারে জবাই হবে সিদ্ধান্তে অটুট
নবীজির বেগুনা মাসুম ছেলেটা,
তখন আল্লাহ সুধাই ওগো জিবরাইল রে...
বেহেশত থেকে উট খান নিয়ে এক্ষুনি
মিনার বাজারে যাও হুকুম আমার এটা।
এই কথা শুনিয়া জিবরাইল উট হাতে
মিনার বাজার এলো,
ইসমাইলের বদলি তখন পশু কোরবান হলো।
সেদিন থেকে কিয়ামত অবদি
একটাই হচ্ছে আওয়াজ,
শাওয়ালে মাসের চাঁদ দেখিয়া কোরবানি হবে
এটাই সর্বশক্তিমান মহান প্রতিপালক
আল্লাহপাকের রেওয়াজ।


........ মুহাম্মদ জে.এইচ (রপ্পি)........

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।