আমাকে ক্ষমা করো

* সন্তানহারা ব্যথায় কাঁদিয়া কাঁদিয়া দুখিনী মা দিশেহারা পথে যাই, গৃহস্থালির রক্ত মিছিল ও গ্যারিলা ট্যাঙ্কের মৃত্তিকা রক্ত জলে তবে আছে কি খোকার চিন্থটা। এ সেই রাস্তা যেখানে খোকার সাথে শেষ দেখা সেদিন মাকে ঝরিয়ে ধরে খোকা ক্রন্দনে ক্রন্দনে যুদ্ধে গেল আর ত ফিরে এলো না। স্বাধীনতা স্বাধীনতা বলে জয় ছিনিয়ে আনতে খোকা গেল তারপর জয় এলো একে একে তার সঙ্গীরা ও ফিরে এলো কভু আজও ত খোকা ফিরলো না। হতাশ চোখে দুখিনির মায়ের আর্তনাদ, আকাশ, বাতাস, বনের পাখি কেউ বুঝে না এই দুখিনী মায়ের কষ্ট, খোকা খোকা বলে কেবলি অশ্রু জলে তার চোখের মণিটা হলো নষ্ট তবু সেই মায়ের দুঃখ কেউ বুঝেনি না কি কেউ বুঝতে চায় নি তবে কি ভয়াভয় অন্যায় এমনটা হয়েছিল কেন সেই অভাগা মায়ের সাথে যেন স্বাধীনতা নানুর হস্তে মোয়া, হেন ভবিষ্যৎ জয় ছেয়েছি জয়ি পেয়েছি আমার অধিকার আমি পেয়েছি তবে এটা নতুন প্রচ্ছ্যদে বেমানান আকার ধারণ করলো রাজাকের বংশ দূত হিসেবে । আমি এর বোঝো নিতে চাই না তাইতো খুঁজে মরি দুখিনী মায়ের সন্ধানে আজ সত্যকে হৃদে ধরে ভরপুর চেতনা লয়ে হে বীর গাজী তোমরা আমাকে ক্ষমা করো স্বাধীনতা রক্ষার্থে কোন ভূমিকা পালনে সামিল হতে পাচ্ছি না বলে। আমি যে মিথ্যের কারাগারে বন্ধি সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে সত্যের কথা বলতে গিয়ে। হে বীর গাজী আমাকে ক্ষমা করো