# ভয়ঙ্কর এক চিঠি উবু হয়ে পড়ে আছে #
- দ্বীপ সরকার - প্রকাশ, সাতকাহন পত্রিকায় ১১/৫/২০১৪ইং ২০-০৫-২০২৪

ভয়ঙ্কর এক চিঠি উবু হয়ে পড়ে আছে হাওয়ায় দেয়াল চেপে,বর্বরতার বার্তা নিয়ে। কেউ দেখেনি। শুধু আমি দেখেছি দু-চোখ মেলে চিঠির খোঁড়া যুক্তি। আমিই শুনেছি
নারকি চিৎকার '' 'মানুষ আর পশুত্তে ব্যবধান খুঁজো,
মানুষকে বোঝো,,।
এই তো সেই দেশ, যেখানে অনাগত মানবতা
সিডিউল মাফিক রচনা করছে অমানবিক ঐতিহ্য বলয়।
আমরা জঘন্যতাকে উদ্বাস্ত হতে দেখিনি কোন কালে,
নিজেদের সম্মান তিলে তিলে মাইগ্রেট করতে
দেখেছি মানচিত্রের রেকি সূত্রে।
ওহ! আমার বাংলাদেশ! ও! আমার
জাতীয় বন্ধুবর্গ! শিশু থেকে বৃদ্ধ।
ঘরের গোপন ড্রয় থেকে সমস্ত স্কয়ার বর্গমাইল।
কে ভুলতে পেরেছে বলো রানা প্লাজার বর্বরতা,জঘন্যতা। কে ভুলতে পেরেছে কনক্রিট আর রড সিমেন্টের উগ্রবাদের যৌক্তিকতা। লাশের মিছিল ঠেকতে ঠেকতে নারকি তান্ডব খেলেছে রক্ত নদী -ভেসে গেছে কান্নার সওয়ার উজানে।

শুধু একটি ইতিহাস রচনার জন্য উবু হয়ে পড়ে আছে
ভয়ঙ্কর চিঠি....
কেমন করে রক্তের ভেতর আতব গন্ধ হাওয়ায় চরে
এখনো গজাচ্ছে ক্লেবতা, অজস্র কান্নার ধ্বনি
বিল্ডিঙ্গে বিল্ডিঙ্গে চৌচালার খিরকি পর্যন্ত মিলাচ্ছে বিড়ম্বনা।

রানা,র কি হলো! বুড়ো আঙ্গুল তো আরো প্রশস্ত করে
ঠেলে দেবে মুত্যুর সমীপে মানব জাতিকে-সুযোগ পেলে।
কতো জীবন আলাদা করেছে ব্যাকরন না বুঝে।
ব্যাকরন না বুঝে তাজরিন ফ্যাশনের স্ফুলিঙ্গ
লাফিয়ে উঠেছিলো সশরীরে,
ছাইপাশ হলো কোন রমনীর পবিত্র চুল,চোখ,নখ,হাড় মাংস। কুচকুচা হয়ে গেলো চামড়ার শরীর।
কেউ বুঝলোনা। কেউ না।
পরমাত্না ঝুলে আছে শুধু ঢাকার রাজপথে,
পরিবহনের হুইসেলের বাঁশিতে। মানুষ গুলো বাপরীতে
হায়েনা হয়ে উঠছে করাত কলের ছবক পেয়ে ,
নিষ্ঠুরতা বুঝেই ওঠেনি বিবেকের সম্মেলন কতো দুর প্রলম্বিত।

ভয়ঙ্কর এক উলঙ্গ চিঠি উবু হয়ে পড়ে আছে
ইতিহাস রচনার অপেক্ষায়।

লেখাঃ ৬/৫/২০১৪ইং

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।