মাননীয় ঈশ্বর সমীপে
- মাহদী হাসান ১৩-০৫-২০২৪

মাননীয় ঈশ্বর, তোমার জানার সক্ষমতা নিয়ে আজ আমার বড্ড সন্দেহ হয়। ফেরেশতাদের সামনে সুস্পষ্ট উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও, তুমি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মুখের জবান বন্ধ করে দিয়েছিলে। শুধুমাত্র ভজনা ও স্তুতিবাক্যের প্রয়োজনে তোমার কি যে বিচিত্র জ্যামিতিক খেলা! খুবতো গর্ব করে বলেছিলে, "নিশ্চয়ই আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না।" অথচ আজ আমরাই অশান্তি আর রক্তপাতের প্রতিনিধিত্ব করছি। ফেরেশতারা তখন ছিল— ঠিক, এই আমাদের মতোই! সম্ভবত, তোমার চাল ছিলো অন্যরকম! কিংবা রক্তই তোমার সেরা পানীয়! তবে আর কতো চাও! নিয়ে নাও। ক্ষমতার কাছে মুখের জবান কতোটা যে ক্ষীণ; তা এখন বুঝতে পারছি। শরীরে জখমের চিহ্ন নিয়ে ভেতরে ভেতরে জমছে বিদ্রোহের শ্লেষ্মা। পাশে না থাকলে, ক্ষমতার দাম্ভিকতা দেখাবে না।

হে মাননীয় ঈশ্বর, তোমার সর্বশ্রোতা বিশেষণে আমার ঘোর আপত্তি আছে। এইযে গগনবিদারী মজলুমের আর্তনাদ, তা কি সাত আসমান ভেদ করে আরশে আজিমে পৌঁছে না! নাকি প্রার্থনা আর ধৈর্যের কথা বলে ভিখারী বানিয়ে রেখেছো! তোমার এ চুপ থাকা নিস্তেজ হৃদয় খসে পড়ুক এই অন্ধকার পৃথিবীতে। খবর রেখো, দিনদিন অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছো বিশ্বাসী ক্বলব হতে। তাতে তোমার কি আসে যায়! তুমিও তো ভয় দেখাচ্ছো সীমা লঙ্ঘনের! ধ্বংসের! আর কতো চেয়ে থাকবো আসমানী প্রতিফলের দিকে! অথচ, কথা ছিলো সত্য ও সুন্দরে তোমাকে পাশে পাবো!

হে মাননীয় ঈশ্বর, সীমা লঙ্ঘন যদি পাপের কাতারে পড়ে, পড়ুক। আমরা এবার পাপী হবো, ক্ষমা করো। আচ্ছা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি কি তোমার আছে! নাকি কড়া ঘুষে বিক্রি হয়ে বসে আছো অহংকারের কুরছিতে! যদি সাধ্য থাকে, তবে নেমে এসো মজলুমের এই মিছিলে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।