বৃষ্টিকথা
- আব্দুল্লাহ মোল্লা - কিশোর গল্প ১২-০৫-২০২৪
একদিন আমি হাটছি একা
পথের গায়ে ভীষণ ক্যাদা।
গেল ছিড়ে পাদুকা জোড়া
সম্মুখে আমার বুড়ো দাদা।
কি হল নাতি যাচ্ছে বেলা
পা দুটো টেনে সামনে ফেলা।
বল কি দাদা অকালে বৃষ্টি
মুশকিল তবে এ পথচলা।
পানই আমার পায়েই আছে
তোরটা তবে হাতে উঠেছে।
পিছিল খাব নাহি ত্রাসে,
উঠল হাতে ঠাটার আওয়াজে।
ভন্ডামিত কম করনা
হাটার সময় নজর করনা।
উফফঃ থামবে তুমি
নয় আর যাবনা।
নাতি, বৃষ্টি যখন আসত ঝেঁপে
দৌড়ে প্রথম দলটি বেঁধে।
পাশের গায় ঐ বড় পুকুরে
দিন কাটাতাম ডুব সাঁতারে।
ধরো দাদা যাচ্ছি পড়ে
কাঁদার ঘাটি সব নদীর পাড়ে।
আচ্ছা নাতি হাত বাড়াতি
আমার কিন্তু যায়নি গতি।
হঠাৎ করে মৃদু স্বরে
ঢুকলো কাটা ঘ্যাঁচাং করে।
দাদা, গেল তো এবার সব হারিয়ে
বড়াই তোমার বড়ই তলে।
দাদা, সামনের ঐ বটতলাতে
সতত মুচি থাকে বৃষ্টি রৌদে।
তোর ঐ ভেঁচড়া জুতো
মুচি তা ধরবে নাতো।
বয়সতো তোর মাত্র উনিশ
এবার কথাটা মন দিয়ে শুনিস।
এই জুতোটা দুই বছরের
তোর এই দশা, দোষ বয়সের।
কি হল দাদা আসছ না যে
দুই বছরে শেষ হল যে।
বয়স তোমার প্রায় আশি
পারছি না আর ঠেকাতে হাসি।
দাদা নাতি একই সাথে
মুচিদার কাছে হবে যেতে।
নাতি, কার্তিকে এই অকাল বৃষ্টি
যদি হাতে পেতাম শক্ত যষ্টি।
১ অগ্রাহায়ণ ১৪২৬ শুক্রবার।
রাতঃ ১১;৫৬
দেওয়ানবাড়ি, আশুলিয়া, সাভার।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।