শ্রদ্ধাভাজনেষু
- আব্দুল্লাহ মোল্লা - অভিমন্যুর ব্যূহ ১১-০৫-২০২৪

সমগ্র ভালবাসা সম্মান, জন্মেছি যার ঔরসে
সন্তানের সকল স্বপ্ন আশা পূরণ করিল সে।
ছোট্ট হতে অদ্য অবধি দিলনা সন্তানকে ব্যাথা
বলছি প্রাণকেন্দ্র হতে, আমার শ্রদ্ধেয় পিতার কথা।
সন্তান ছাড়া প্রশস্ত জগতে পায়না খুজে শান্তির কর্ণ;
একটা সন্তান বাবার কাছে সর্বাপেক্ষা চারপায়ী স্বর্ণ।
সন্তানের মুখ প্রথম যেদিন দেখেছিল বাবার চোখ;
ঐ দৃষ্টিতে দূর হয়ে যায় সকল যাতনা দুঃখ শোক।
বাবাই প্রথম হাটতে শেখায় এই ভুবনের পথ ধরে
সদা থাকে মাথার উপর গাছের ছায়া অবলম্বন করে।
ছোট থেকেই ছেলেকে বাবা শেখায় শিষ্টাচার ভদ্রতা!
সারাজীবন প্রাণধারণ করে, হয়ে বিশ্ব বরেণ্য শিক্ষকতা।
হাত ধরে যায় মসজিদেতে জানায় বিদ্যা, গ্রন্থ কোরআন
নিষ্ঠার পথে ধাবিত করে, দেখায় সৎ পথের জীবনযাপন।
নিজের স্বাচ্ছন্দ্য ভুলে গিয়ে, তৃপ্তি করে সংকুচিত;
ছেলের মুখে হাসি দেখে বাবা ভীষণ আনন্দিত।
সকল যুদ্ধ কষ্ট শিকার করে থাকে প্রবল সহিঞ্চুতা;
তথাপি সন্তানকে অভাবগ্রস্ত রাখেনা যুধিষ্ঠির পিতা।
সন্তান সদা বাবার কাছে সুদীপ্ত আলো নক্ষত্র;
সন্তান একটু কাতর হলে হৃদয় হয় আঁধারচিত্র।
এরুপ মহান পরিকর'জনের নেই উপমা ভালবাসার
এমন স্নেহ আশীর্বাদ, করতে পারবেনা কেউ সংস্কার।
সকাল হতে রাত্র অন্তে কামনায় বিভোর দৃঢ় চিত্তে;
সন্তান তার উল্লেখ থাকে সদা প্রার্থনার মোনাজাতে।
শৈশব হতে আমাকে যেমন স্নেহ মমতায় করেছে লালন;
হে আল্লাহ আপনি আমার পিতার প্রতি সদয় হন তেমন।




১৯শে চৈত্র ১৪২৬
বুধবার, রাত্রি: ১১ঃ৫০
আশুলিয়া, সাভার।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।