যে রাত্রির শেষে আলো নেই
- মুহাম্মদ সাখাওয়াৎ আলম চৌধুরী ১২-০৫-২০২৪

""""যে রাত্রির শেষে আলো নেই """"

আগস্টের মধ্য রাত্রি গলে নিরব প্রহর -
বিগত উৎসবের ক্লান্তির রেশ শেষে
ঝুম শুনশান নিরবতা এখানে।
রাতের কৃষ্ণ চাদরের আড়াল ভেদ করে
উঁকি দেয় বিধ্বংসী যন্ত্রযানের আলোকচ্ছটা।
নিকষ অন্ধকার বিদীর্ণ করে সশব্দে এগিয়ে আসে
কিছু ঊশৃংখল মাতাল ক্ষমতালোভী বিভৎস কীট।
জাতির প্রাণ ভোমরার আঙিনায় চলে
তাদের উদ্মাদ উৎসব গগনবিদারী বুলেটের শব্দে।
সহসা নিঝুম রাত্রির শেষ খন্ড হয় কারবালা ;
জাতির সূর্যউদ্দীপ্ত প্রাণ পুরুষের বুকে
স্থান করে নেয় নির্দয় বুলেট।
যে বুকে ছিলো শোষিতের জন্য কান্না
যেখানে অবিরাম খেলা করত দুঃখী মানুষের মুখ ;
সেই মায়াময় ভালবাসার সবুজ প্রান্তর
ভরে গেছে তরতাজা রক্তের বন্যায়।
নর্দমার কীটের বিষাক্ত হুলে অকস্মাৎ
ঝরে গেলো  ঘুমন্ত সকল  প্রাণ ;
নবপরিণীতা, যার কাঁচা মেহেদীর রঙ শুকায়নি,
অন্তরে লালিত রঙিন সপ্নের হয়েছে অঙ্কুরে বিনাশ।
হয়েছে মৃত্যু, যে এখনো দেখেনি পৃথিবীর
শুভ্র আলোর ঝলকানি ;
তার আগেই মায়ের জঠরে হয়েছে জীবন্ত কবর।
নিষ্পাপ অবুঝ শিশুর বুকে চালানো হলো বুলেট,
যার শেষ ইচ্ছা ছিলো মায়ের আচঁলে নিরাপদ আশ্রয়।
ঘৃণ্য দানবের নৃশংস তান্ডবে ভুলুন্ঠিত হলো
মায়াময় সপ্নের বর্ণিল পৃথিবী।
কারো রেহাই আজ নেই পাষাণ্ডদের কাছে -
বাড়ির প্রভুভক্ত কুকুর থেকে শুরু করে
জীবন্ত সকল মানবের বুক বিদ্ধ করেছে বিশ্বস্ত বুলেট।
অমানবীয় তান্ডবের শেষে পূর্ব আকাশে উদিতহলো
বাংলার বিশ্বাসঘাতকতার নতুন এক সূর্য।
যে আলো কখনোই রবির শুভ্রতা ছড়াবে না,
সে আলো জাতির ইতিহাসে কৃষ্ণ বর্ণেতেই
ধরা দেবে যুগ যুগ থেকে অনাদিকাল পর্যন্ত।

2/8/14

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।