আমি প্রেমিক হতে চাই!

আমি প্রেমিক হতে চাই!
এই বৈশাখের পড়ন্ত বিকেলে কৃষ্ণচূড়ার তলে তোমার হাতটি ধরে মুক্ত বাতায়নে বসে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে চাই।আমি দেখতে চাই মায়াবতীর মায়াবী ঐ চোখ, হারিয়ে যেতে চাই তোমার ঐ কাজল কালো দুটি চোখের তারায়।
আমি যে চাই সন্ধ্যা জুড়ে নিয়ন আলোর এই শহরে পাশাপাশি বসে রিকসা করে ঘুরতে।রিক্সা থামবে গিয়ে নদীর পাড়ে।তুমি আমি নদীর পাড়ে একটা বেঞ্চে গিয়ে বসবো, পূর্ণিমা ভরা সন্ধ্যায় চাঁদের আলোয় দেখবো তোমায়।কানে ভেসে আসবে ঢেউয়ের মিষ্টি সুর।
এই আমি যে প্রেমিক হতে চাই!
আমি জেনে শুনে হারিয়ে যেতে চাই পরিচিত এক ঠিকানায়।যেথায় হাসি হেসে কেউ নামটি ধরে ডাকবে।বুকের মাঝে মাথা গুজে ভালোবাসায় মুখ লুকাবে।যার নিঃশ্বাসে হাজার বছর বাঁচতে চাইবে মন।একটু হাসিতে একটু খুশিতে বেঁচে থাকার শত আয়োজন।
সত্যি বলছি, আমি যে প্রেমিক হতে চাই!
খুঁজে ফিরি নুপুরের রিনিঝিনি সুর,
কাটিয়ে দেবো আগামীর সকাল, সন্ধ্যে, দুপুর।
খোঁপায় গেঁথে দেবো তাজা তাজা বেলী,
ইচ্ছে করছে প্রেমিক হয়ে প্রেমের খেলা খেলি।

আমার কবিতার উপমা, শব্দের অক্ষর, মাত্রা,
ছন্দের তাল, গানের সুর গো তুমি।
তোমার এলোমেলো ভেজা চুলের ঘ্রাণে পাগল যে আমি।তোমার কৃষ্ণচূড়ার মত লাল টিপে হারিয়ে যাই প্রতিনিয়ত।তোমার রেশমী চুড়ি, লাল শাড়ির রঙে রঙ্গিন হয়ে যাই।
তুমি কি আমার মায়াবতী নাকি হৃদয় মাঝের হৃদয়েশ্বরী??নাকি বৈশাখের হিজলের ডালের হলুদ পাখি?
আচ্ছা, যার মুক্ত চুলে মাতি আমি, তুমি কি আমার ভাবনার চিলেকোঠার সেই তুমি?
আচ্ছা, তুমি কি রোদেলা দুপুরে, শাড়ির আঁচল উড়ানো সেই শকুন্তলা?
আচ্ছা, তুমি কি বৃষ্টির মাঝে নীল ছাতা ধরে হেঁটে চলা বৃষ্টিকন্যা?
তুমি কি চুড়ি হাতে বৃষ্টি ভেজা সেই তুমি?
তুমি কি জানালার গিয়ে টুনটুনি খুঁজে ফেরা সেই দুষ্টু টুনটুনি?
তুমি কি আমার পরশে কেঁপে ওঠা লজ্জাবতী?
কি গো চুপ কেন? বলনা বলনা, তুমি কি আমার তুমি?
-হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ।
আমিই তোমার হৃদয়েশ্বরী, হিজলের ডালের হলুদ পাখি, আমিই শকুন্তলা, আমিই বৃষ্টিকন্যা, জানালার দুষ্টু টুনটুনি।
আমি যতবার সামনাসামনি এসেছি তোমার ততবার এমনভাবে দেখো মনে হয় প্রথমবার দেখছো আমায়। কেমন করে তাঁকিয়ে থাকো।চোখ দিয়ে মনে হয় আঁকো আমায়, ঠিক প্রথমবারের মতই।
-আঁকিতো। মনের ঘরে তোমাকে আঁকি।