লেখনীর অক্ষরে অক্ষরে
- শোভন সরকার ১১-০৫-২০২৪

লেখনীর অক্ষরে অক্ষরে প্রেমের পরশ থাকে।অক্ষর দিয়েই তে জাগিয়ে তোলা যায় হৃদয়ের গুপ্ত ভালোবাসাকে।আমি লেখনীতে জাগিয়ে তুলি তোমার মনের রঙ, তোমার ভালোলাগার প্রতিক্ষণ।তোমার এলো চুলে আমি তোমার দুরন্তপনা খুঁজি, তোমার চোখের কোনে খুঁজে পাই মায়া। তোমার রাগের মাঝে খুঁজে পাই তোমার মনের জমানো অনেক কথা।
লেখকেরা নাকি কল্পনায় একজনকে দেখে।সমস্ত লেখার উপমা তাকে দিয়ে যায়।সে চাইলেও দেয়, নাহ চাইলেও দিয়ে যায়। আর আমার ছোট্ট খাতায়, লেখনীর পাতায় তোমার চোখ ভাসে।
আমার হৃদয়ের কোণে বকুলের গান বাজে।ঝুমকার দুল দুলতে থাকে, নুপুরের সুর যে ছন্দ হয়ে সাজে।
কৃষ্ণচূড়া আমাকে রাঙাতে পারেনা, তুমি কৃষ্ণচূড়ার রঙে আমাকে রাঙিয়ে দেও।
বেলি সুবাস ছড়ায় তোমার আগমনে।
গোলাপ আমি ছুঁয়ে দিয়েছি শুধু তোমার পানে।
তুমি কি জানো? তুমি যখন কথা বলোনা আমার সাথে, তোমার নামে আমি অক্ষর সাজাই।অক্ষরের মাঝে তোমাকেই যে খুঁজে পাই।এই যে দেখে এলো চুল, তাতো তোমার।এই যে ঝুমকা তাও যে তোমার, এই যে আমার জানালার টুনটুনির ডাক, তাও তোমার।
আমার মনের ঘরে, ছোট্ট বাসা তাও যে তোমার।
একজন লেখক শুধু অন্যকে লেখেনা। সব থেকে বেশি লিখে যায় তার অনুভূতিগুলো, নিয়ে যায় শব্দ দিয়ে বাক্য বানিয়ে তোমার দ্বারে।
তোমার দ্বারে শব্দরা যে টোকা মারে, ডেকে চলে তোমায়।তোমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে।

তোমাকে রঙ্গিন করে, লেখনীর রঙে।
তোমার পায়ের আলতা, ফুটে ওঠে লেখকের শব্দে।
তোমার চুলগুলো অবাধ্য হয়ে যায়, লেখকের শব্দের আলতো ছোঁয়ায়।তোমার চোখে লেখক ডুব দেয়,
কতশত ছন্দ নিয়ে তীরে ফেরে।
তোমার ডাকে সকাল সাজে, সাজে লেখকের দিন।
কণ্ঠে যেন মিষ্টি সুর, সকাল যে রঙ্গিন।
রবির লেখায় মিশে ছিলো কাদম্বরী।
আমার লেখায় তুমি আছো প্রাণের হৃদয়েশ্বরী।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।