হৃৎযন্ত্রের যান্ত্রিকতা
- ফয়জুস সালেহীন - হে ক্ষণিকের অতিথি ১০-০৫-২০২৪

"ফুল নিবেগো ফুল? নিবে বকুলমালা?শিউলিমালা?" ফুলওয়ালীর চেঁচামেচিতে কান ঝালাপালা। হুডহীন রিক্সায় আমি বসে আছি ভাবলেশহীন। ফুলওয়ালীর চেঁচামেচিতেও ঘুম ভাঙ্গেনি বেঘোর ঘুমে আচ্ছন্ন ইচ্ছেটার। একবারের জন্যও ইচ্ছেটা জাগেনি ফুল কেনার তরে। নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করি,কেন কিনিনি ফুল? মোর কি প্রিয়া নেই দেবো খোপায় গুঁজে ফুল! লোকে হয়তো ভাববে যত্তসব পাগলের প্রলাপ ভুল করেও কতদিন যে কিনিনি একটি গোলাপ! ভালোবাসা দিবসে প্রিয়ার দুয়ারে হয়েছি হাজির; ফুল নয় ফুলকপি নিয়ে। অন্য আটদশটি দিনের মতো করেছি, ফুলকপি ভাজি খাওয়ার আব্দার। তবে কি আমার হৃৎযন্ত্রটা আজ কেবলি একটা যন্ত্র? কতোদিন দুজনা ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে রূপালী চাঁদটা দেখিনা একদৃষ্টিতে! কতোদিন যে দুজনা একসাথে ভিজিনা ঝুম বৃষ্টিতে! ভাবছো কি সব নাটুকেপনাই না করছি? আরে,নাটুকেপনার প্রলেপই ভালোবাসাকে করে সুরক্ষিত। যা ভেদ করে প্রবেশ করতে পারেনা যান্ত্রিকতার বিষবাষ্প। মেঘে মেঘে অনেক বেলা,সময়গুলো কতো দ্রুতলয়ে যাচ্ছে যে ফুরিয়ে! তোমার আমার ভালোবাসার গল্পটা এভাবেই কি এগুবে, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে? যান্ত্রিকতাকে দূরে ঠেলে,এসো ভালোবাসার ছায়াঘেরা পথে পা দেই বাড়িয়ে। ১২-১২-২০১৫ খ্রিস্টাব্দ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

faijus
১৯-১২-২০১৫ ১০:০৭ মিঃ

যান্ত্রিকতাকে দূরে ঠেলে,এসো ভালোবাসার ছায়াঘেরা পথে পা দেই বাড়িয়ে।