বিধবা
- রূপক বিশ্বাস ০৮-০৫-২০২৪

আমারি হাত দুটি ধর
ও প্রেয়সী নর
আমি যে বিধবা!
তোমারই হাত দুটি ধরে
এ বিধবা নাম হতে
পার হব আমি ওপারে
তোমারই সাথে।।

অকারণে বদনাম এ আমার দেহখানির!
লোকেরা কয় -
আমি কু-লক্ষ্মীনি
আমি পর উপবেসীনি
আমি সুভাষীনি
আমি দুঃখ রহিনী
আমি হতে পারিনি তাদের প্রিয়
হয়েছি সমাজের বুকে বিধবা নামে প্রতিষ্ঠিয় ।।

স্বামীর মৃত্যুর কারণ এই আমি
তবে কে বলেছিল -
আমাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতে?
কেনো, এটা তোমাদের করা ছিল বাদ্ধ!
যখন পণ হিসাবে আনলে
লক্ষ লক্ষ টাকা, ভুরি ভুরি গয়না
আর আমার এই শরীরটাকে
তখন আমি তোমাদের প্রিয়
এখন সব দোষ আমার!
তোমাদের এই মলিন অহংকার
সমাজকে করবে আবার পরোপকার।
আমি বলি -
পতিতা আর আমার মধ্যে পার্থক্যটা কি?
বোঝাও দেখি -
ওদের ও দেহ বিক্রি হয় টাকা দিয়ে
আমারও দেহ বিক্রি হয় টাকা দিয়ে।
শুধু মাত্র ছিল বিবাহটা উপমা
আসলে এ সমাজ কখনো মেনে নেয়নি যে আমি এক বৌমা।
আবার আমার নাকি -
পরনে বারণ ওই রঙিন শাড়ী
হে প্রভু! তাহলে আমি একেমন নারী?
প্রশ্ন রইল ওই সমাজের কাছে
তোমাদের কি এটা করা সাজে?

না, না, না, এই অবিচ্ছল্য কুসংস্কার আমি মানবো না,
তোমাদের প্রপঁচিত কথা শ্রবণ করব না,
দেখা যাক কি না কি হবে
এর বিরুদ্ধে লড়বোও আমি তবে
সোঝা পথে আনব সমাজকে
প্রভু! দিও শক্তি তুমি আমাকে।

এই শব্দকে ভরিও সুসজ্জে
যেন রাঙাতে পারি গিয়ে মেঘের গর্জনে,
বৃষ্টি রূপে ঝরাব গোটা বিশ্বে
তবে হব আমি ইতিহাসের পাতায় শীর্ষে।
দুঃখ যেন করিতে পারি জয়
প্রভু! তোমারে যেন না করি সংশয়।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।