ঈশ্বরের প্রতি
- রোটেটিং নিউরোট্রান্সমিটার ১০-০৫-২০২৪

ধর্ম অধর্মের হেরফেরে,
বিভক্ত আজিকার মানবতা।
কেউ বিসমিল্লাহ্‌ পড়ে,
হাতে তাসবিহ ধারণ করে,
নারায়ে তাকবির শ্লোগানে,
দেয় মন্দিরে কুঠারির আঘাত।

কেউ'বা আবার হরে কৃষ্ণ,
রাম রাম আউড়িয়ে
হয় না দ্বিধাগ্রস্থ,
গুড়িয়ে দিতে বাবরী মসজিদের প্রশস্ত দেওয়াল।

মন্দির-মসজিদ ভাঙ্গে যারা,
তারাই তো ধার্মিক!
এ কেমন ধর্ম ঈশ্বর!
তোমার এ কেমন বিচার!

কামান গোলার আঘাতে যারা
ঝাঁজরা করে নিষ্পাপ শিশুর বুক,
তারাই তো ধার্মিক বলে পরিচয় স্মরে
আপন মুখ।

সন্তানহারা জননীর আকুতি
পৌছায় না তাদের কাছে,
মানবতার দেওয়াল ভেঙ্গে তারা
পৌছে অমানবিক ধর্মে।

যে ধর্মে নিপীড়ন হয়
তোমারই নামে।
এ জগতে যা কিছু হয়,
শুধু তোমারই আদেশে!

তবে বল________
তুমি সবলের বন্ধু,
কেন দুর্বলের পীড়ন?
তুমি নির্যাতনকারীর সহায়,
কেন নির্যাতিতের তরে আকুন্ঠক!
দুই মাসের শিশু আসাদ,
কি দোষ করেছিল তোমার?
সেও'তো স্বপ্ন দেখেছিল,
মানুষ হয়ে বাঁচার!
যে শিশু জন্মের আগেই,
শুনতে পায় কামানের আওয়াজ!
তার প্রতি কি তোমার,
হয় নি অবিচার?

তুমি তো রহিম, তুমিই রহমান!
তবে কেন আমি খুঁজে পাই না,
তোমার নামের সফল প্রয়াস!

গাম্ভির্যতার সাথে_______
তুমি আপনার পরিচয় দাও
মহাপরাক্রমশালী বলে,
তুমিই পরিচয় দাও
নিজেকে ন্যায়বিচারকরূপে!
তবে, আজ গাযাবাসীর তরে,
তোমার এ কেমন ন্যায়বিচার?

কেউ বলে ইসলাম সত্য,
কেউ'বা সনাতন!
আবার কেউ বৌদ্ধ কিবা খ্রিষ্টান!
মোর কাছে মানবতা'ই মহান!

চট্টগ্রাম, ১৯ শ্রাবণ ১৪২১ বঙ্গাব্দ

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।