ফিরেছিলে রক্তমাখা দেহে
- রফিকুল আলম ০৯-০৫-২০২৪

ফিরেছিলে রক্তমাখা দেহে
রফিকুল আলম

সেদিনটি ছিল ২০০৩ সালের
অগ্নীঝরা মার্চের দ্বিতীয় দিন
প্রকৃতি সৌরভে ভরা ফাগুন।
কৃ্ষ্নোচূড়া আর আমের বোলে
বাতাবী লেবুর সুঘ্রাণে মাতানো
শিমুল পলাশের রঙে রাঙানো
আগুন ঝরানো যৌবনে বসন্তের ফাগুন।
পাখীরাও ছিল মুখোরিত কলরবে
আপন আপন ঘরে রোজকার মত।
প্রতিদিনের মত মেঘমুক্ত আকাশের
নীল বিছানায় রক্তিম আভায়
অহংকার ছড়াচ্ছিল আঁধার হরা দিবাকর।
কোন অশনী সংকেতে নয়
রোজকার মত সহসা একটি ধূসর কাক
ডেকে গেল শ্রুতিকটু বেসুরো স্বরে।
আলতো সুরতিতে চঞ্চুর পরশ দিয়ে
আমার টোল খাওয়া গালে
চলে গেলে তুমি আপন কাজে ।
ক্লান্ত পাখীরা নীড়ে ফিরার আগেই
ফাগরাঙা দুপুরে এলে ফিরে
আমার বুকে আপন ঘরে।
কপাল চুমিয়া আবেগঘন আলীঙ্গনে
দিনের ক্লান্তি ঝেড়ে
রেখে মাথা আমার ক্রোড়ে
শোনালে কাজের ফিরিস্তি যত
রাজনীতির কথা অর্থনীতির কথা
ক্রিকেটের বিশ্বকাপের পোস্টমর্টেম
আরো কতকিছু।
আঙুলের চিরুনি দিয়ে মাথায় বিলি কেটে
স্থির দৃষ্টি তোমার মুখোমন্ডলে রেখে
নিমগ্ন চিত্তে শুনছিলাম কথা মালা
কিন্তু ফাঁকে ফাঁকে তুমি
আমার পাওনা দিতে করোনিকো ভুল।
অনেক খুঁনসুটির পরে আমাকে ছেড়ে
তুমি গেলে চলে সমাজের কাজে।
আমি শুধু বসে থাকি তোমার আসার আশে।
সেদিনও তুমি এসেছিলে ফিরে
কিন্তু সরাসরি না এসে ঘরে
এসেছিলে আমার নিকানো আঙিনায়
পায়ে হেঁটে নয় খাটিয়ায় চড়ে
নিথর নিস্তব্ধ রক্তমাখা দেহে
সন্ত্রাসীদের বুলেটের আঘাতে জর্জরিত হয়ে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।