ফুপিয়ে কান্নার শেষে
- আকছার মুহাম্মদ - নিরাশ্রয় পাঁচটি আঙুল ০৯-০৫-২০২৪

এই তো সেদিন খুব ভোর বেলা দুই ঘন্টা বিলম্বে ছেড়ে ছিলো
পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের ট্রেনটি....
দেড় যুগ পর আজ ভোরে আবার একটি ট্রেনের অপেক্ষায় আমি...

মেয়ে আসবে, বাবা না এসে থাকা যায় বলো
রেখে যাওয়া সম্পদটি খুব আগলে রেখে বড় করেছি...
যেন কোন অভিযোগ করতে না পারো।

মেয়ে বাবা নিয়ে সুখি কিনা জানিনা তবে
সে বাবার মাথায় নিজের পর চুলা লাগিয়ে বলে.. বাবা তোমায় মায়ের মত লাগছে!

আমি হাসি, মেয়ে হয়তো লুকিয়া কাদে
যখন দেখি চোখ গুলো ফুলে আছে
ফুপিয়ে কান্নার শেষে...
আমি কিছু বলতে পারিনা...
কি বলব, বলার যে কিছু নেই!

ভালোলাগায় ঘর বেধে যে জন যায় চলে
সেজনের গল্প বলি ক্যামনে
বলতে পারিনা মোহ কেটে গেলে বিষাদে ভড়েছিলো তার জীবন। তোমার মন।

অভুক্ত থাকা দিনগুলিতে পাশে ছিলে
সেসবের গল্প হয়তো বলা যাবে!
টিউশনি করানো টাকা থেকে বাচিয়ে
গুণে গুণে সঞ্চিত অর্থের কথা বলা যাবে !
কতো মনোহর প্রকৃতির হাতছানি পিছনে
দুমড়ে মুচড়ে এলে হাত ধরতে

সেই গল্প ও বলা যাবে .. !

সে সাহস কবে হবে জানিনা
এখন সাহস করতে ভয় লাগে বড্ড ভয় লাগে ।।
কতশত প্রাণচাঞ্চল্য গল্প পড়ি সে সাহস আসেনা ।
কোথায় পালিয়ে গেলো ।
কোথায় হারিয়ে গেলো ।

কুড়েঘরে থেকে শিল্পের লড়াইয়ে আমি আজ
বিধ্বস্ত অপদ্রব্য আর কুলুফ নিয়ে কাঁচার আঁখি ।
যতিচিহ্ন আঁকা চার দেয়ালে গোটা শক্তি ।

কেন এমন হলো
কেন হলো মন খারাপ , কেন
কি পাওয়ার লোভ ছিলো
কি হারাবার ক্ষোভ ছিলো
কে দিলো হাতছানি ঈশারা করল ডাকাডাকি
সেই সব পুরাকীর্তি আজো আসে , বিসারী ।।

পুকুর ছিলো জোছনা ছিলো ছিলো মাথার উপর
মস্ত বড় চাঁদ । দোলনা ছিলো খুনসুটি মাখা রাত ।

সেই সব একা করে কোথায় চলে যাওয়া ।
কোথায় বসতি করেছো জানিনা ।।

ভালো থেকো অনুনয় প্রার্থনা ।।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।